আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। (সূরা বাকারা ২৭৮-২৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রাযি. বলেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤْكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ
‘রাসূলুল্লাহ ﷺ সুদ ভক্ষণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের লেখক এবং সাক্ষীগণকে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, (গুনাহের ক্ষেত্রে) তারা সবাই বরাবর।’ (মুসলিম ১৫৯৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পোশাক হারাম টাকায় ক্রয়কৃত সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হলে বা প্রবল ধারনা হলে তাহা পরিধান করবেননা।
,
পোশাক গুলোর ক্রয়কালীন মুল্য যদি বর্তমানে আপনি সদকাহ করে দেন, তবে পোশাক গুলো ব্যবহার জায়েয হবে।
এই মুহুর্তে সদকাহ করতে না পারলে সেটি রেখে দিয়ে হালাল কোনো পোশাক পড়ে ইবাদত করলে তাহা কবুল হবে।
,
(০২)
যেই পরিমান সূদ গ্রহন করেছেন,তাহা মূল মালিককে ফেরত দিবে।
ফেরত দেওয়া অসম্ভব হলে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।
,
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এমাউন্ট জানা না থাকলে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে সংখ্যা নির্দিষ্ট করবে।
,
এখন প্রত্যেহ যেই খাবার তিনি খান,তাতে যদি সেই হারাম টাকার মিশ্রণ থাকেন,তাহলে তাহা কিছু হলেও হারাম খাবার হিসেবে থাকবে।
তবে যেহেতু তাতে হালালের আধিক্যতা রয়েছে,তাই তার ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
,
(০৩)
এখানে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করার আগ পর্যন্ত সেই গবাদি পশু থেকে যাবতীয় উপকৃত হওয়া হারাম হবে।
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় পরবর্তীতে ২য়,৩য় বার ধোয়ার সময় যদি কোনো নাপাক কাপড়ের সাথে স্পর্শ না হয়,তাহলে সেট পাক হবে।
,
(০৫)
যদি ট্যাপেএ পানি ছেড়ে দিয়ে তার মুখে সেটি ধোয়া হয়,অথবা প্রবাহিত কোনো পানির সম্মুখে রেখে সেটি ধোয়া হয়,তাহলে সেটি পাক হবে।
,
নতুবা বদ্ধ পানির ভিতর রেখে এইভাবে দুই বার ধোয়া হলে তাহা পাক হবেনা।
,
(০৬)
হ্যাঁ এভাবে সদকাহ করা যাবে।
,
এই সদকার ছওয়াব বাবা মা পাবে,এটি মনে সংকল্প করে দান করলেই হবে।
বা মনে সংকল্প করবেন যে এটি আমার বাবা মার নামে দান করছি।