আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
শাইখ,আমার প্রশ্নটা হলো ঃসহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে উপার্জিত অর্থ হালাল হবে কি না। যদি ও আমি এই প্রশ্নট পূর্বে ও করেছি,উত্তর ও পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আরেকটু ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার প্রশ্নটি আপনাকে করা,বার বার বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা পার্থি।শাইখ,আমি লক্ষ্য করালাম যে এই ইনকাম কয়েকজন আলেম হারাম বলেছেন আবার কয়েকজন আলেম বলেছেন হালাল।আমি আপনার থেকে সন্তোষজনক উত্তর ই পেয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু, শাইখ ড.মঞ্জুর এলাহির একটা লেকচার আমাকে খুব ভাবাচ্ছেhttp://sharevideo1.com/v/VnpSMnFsVGJiaTQ=?t=ytb&f=চ।উনি বলেছিলেন যে," শরিয়ার একটা মূলনীতি হলো,! যা কিছু নিষিদ্ধ তা করে যদি কেউ ইনকাম করে তাহলে তার সেই ইনকাম ও নিষিদ্ধ!যেমন কেউ যদি সিগেরেট প্রডিউস করে ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম, কেউ যদি সিগেরেট সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম,।আমরা জানি,অশ্লিল কোনো কথা কাজ করে কেউ যদি ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম, চুরির মাধ্যমে যদি কেউ ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম। অতএব,হারাম কোনো কাজ করে যদি কেউ ইনকাম করে সেটা ও হারাম ইনকাম""।এই কথা গুলো ই শাইখ তার লে।চচারে বলেছিলেন।শাইখের,আরেকটা লেকচার, http://sharevideo1.com/v/dGpvUFN5Y0RVeXc=?t=ytb&f=চ।আর,আমি গতকাল রাতে প্রফেসর মোখতার আহমেদ কে লাইভে জিজ্ঞাস করেছিলাম।উনি লাইভের এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে উত্তরটা দিয়েছিলেন খুবই সংখেপে,।উনি বলেছিলেন যে,চাকরি করা টা নাজায়েজ হবে।উনি আরো বলেছিলেন যে,পর্দা রক্ষা করা ফরজ। কিন্তু, সংংক্ষিপ্ত আলোচনা বিধায় আমি ঠিক ভাবে বুঝতে পারি নি।


কিন্তু, আমার মাথায় একটা ঘুরপাক খাচ্ছে যে,শিক্ষকেরা তো আর সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের একসাথে বসানোর মাধ্যমে ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য তো আর টাকা পাচ্ছেন না!কিংবা উনাদের পর্দা ভঙ করার জন্য ও কোনো টাকা পাচ্ছেন না!

উনারা তো জাস্ট স্টুডেন্ট দের পড়ানোর জন্য ই সরকার থেকে টাকা পাচ্ছেন,পড়ানোর বিনিময়ে।উল্লিখিত আমার চিন্তা ভাবনা গুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, আপনি পড়তে পারবেন।
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সহশিক্ষা থেকে বিরত থাকার জন্য দাওয়াহ দেয়া মন্দ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...