আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর,পূ্র্বের  প্রশ্নের উত্তর টা না বোঝার জন্য আবারও প্রশ্ন করছি, বারবার বিরক্তের জন্য লজ্জিত ও দুঃখিত।সংক্ষেপে বলছিঃ-১/একটি ওয়েব সাইট ব্যবহার করি যেটা অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ফ্রান্সের ও শেয়ার আছে। এটা ব্যবহার করলে ফ্রান্সেরও উপার্জন হয়,ফ্রান্স এর প্রেসিডেন্ট  যেহেতু রাসূল সাঃ কে অবমাননা করছে,তাই হুজুর উত্তরে বলছিলেন, হালালভাবে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা জায়েজ,তবে ভিন্ন ওয়েব ব্যবহারের মাধ্যমে উপার্জনের সুযোগ থাকলে বর্জন (যেহেতু ফ্রান্সের উপার্জন হয়) ঈমানের দাবী।এখন হুজুর বিকল্প ওয়েবসাইট পেয়েছি, কিন্তু আগের ওয়েবসাইটের ভিতর ৫-৭ হাজার টাকা রয়েছে, আরও কিছুদিন কাজ না করলে হয়তো টাকা তা তুলতে পারবনা(পুরা টাকা লস),আর কিছুদিন কাজ করলে জমা টাকা + আরও কিছু টাকা পেতাম।এখন হুজুর,আর কিছুদিন কাজ করে টাকা তা তুলে,পরে এই ওয়েবসাইট বাদ দিয়ে বিকল্প ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চাচ্ছি। এটা করবো নাকি এই মুহূর্তে ওয়েবসাইট ব্যবহার বাদ দিয়ে জমাকৃত টাকা লস করবো???ক্লিয়ারলি বলবেন!!!আর কোনো ফরাসি পণ্য কিনা হয়ে গেছে, এখন ঘর থেকে ফেলে দিয়ে তো লাভ নেই, বরং নতুন করে ক্রয় না করলেই তো হয়,নাকি?????????       ২/বিবাহ বাবদ এক বন্ধু ধার চেয়েছে, বিয়েতে হলুদ সহ আরো কু-প্রথা ও গুনাহের কাজ থাকে,এমতাবস্থায় ধার দেওয়া উচিত হবে বা গুনাহ হবে??     (বিঃদ্রঃ সংক্ষিপ্ত  উত্তর দিলেই হবে,এক প্রশ্ন না বুঝার জন্য ২য় বার করার জন্য দুঃখিত)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি আর কিছুদিন কাজ না করেন,তাহলে আপনার টাকা লোকসান হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেই ওয়েবসাইট বর্জন করার দ্বারা তাদের লোকসান নয়,বরং আপনারই লোকসান হচ্ছে।
 সুতরাং আপনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
পরে যদি ছেড়ে দেন,কোনো সমস্যা নেই। 
,
তদ্রুপ ফরাসী কোনো পণ্য ক্রয়ের পর সেটি ফেলে দেওয়ার দ্বারা ফ্রান্সের কোনো ক্ষতি হবেনা,ক্ষতি আপনারই হবে।
সুতরাং সেটি ফেলে দেওয়া যাবেনা।
,
কেননা শরীয়তে সম্পদ নষ্ট করা বৈধ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الْأُمَّهَاتِ وَوَأْدَ الْبَنَاتِ وَمَنَعَ وَهَاتِ. وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةُ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য মায়ের অবাধ্যতা, কন্যাদের জীবন্ত প্রোথিতকরণ, কৃপণতা ও ভিক্ষাবৃত্তি হারাম করেছেন। আর তোমাদের জন্য বৃথা তর্কবিতর্ক, অধিক সওয়াল করা ও সম্পদ বিনষ্ট অপছন্দ করেছেন।
(বুখারী ২৪০৮, ৫৯৭৫; মুসলিম ১২-(৫৯৩), সহীহুল জামি‘ ১৭৪৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫০৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৫৫, শু‘আবুল ঈমান ৭৮৭২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭২৮৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বয়হাক্বী ১১৬৭৪।)

(إِضَاعَةَ الْمَالِ) ধন-সম্পদ নষ্ট করার ব্যাপারে ইসলাম কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কেননা সম্পত্তি হলো মানব কল্যাণের জন্য, তাই তা নষ্ট করা মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড-র শামিল। তবে আখিরাতের সাওয়াবের আশায় জনকল্যাণমূলক কাজে তা অত্যধিক ব্যয় করা খারাপ কিছু নয়। অধিক ব্যয়ের তিনটি দিক হতে পারে। ১) অন্যায় পথে খরচ করা, এটা বিনা সন্দেহে নিষিদ্ধ। ২) ন্যায়ের পথে খরচ করা, যার প্রতি শারী‘আত উৎসাহিত করেছে। ৩) শারী‘আত কর্তৃক বৈধ বিষয়ে খরচ করা। যেমন একটু চাকচিক্যময় জীবন যাপন করা। ইমাম সুবকী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সম্পদ নষ্টের ব্যাপারে মূলনীতি হলো তা খরচের ব্যাপারে দীনী ও পার্থিব কোন উদ্দেশ্য না থাকা, সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে দীনী ও পার্থিব কোন উদ্দেশ্য না থাকলে তা অকাট্য হারাম হবে। ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ উত্তম চরিত্রের মূলনীতি হিসেবে হাদীসটি অনেকগুলো ভালো স্বভাবকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৯৭৫)

আরো জানুনঃ

(০২)
উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে জানেন যে সেই টাকা দিয়ে নাজায়েজ কাজই করা হবে,তাহলে আপনার জন্য এমতাবস্থায় ধার দেওয়া উচিত হবেনা।
গুনাহের সহযোগিতা করা হবে। 
,
অন্যথায় ধার দেওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...