ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(প্রথম কথা হল)
https://www.ifatwa.info/1022 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নাম ধরে ডাকা, সম্মোধন করা উরফ তথা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।যেখানে নাম ধরে ডাকাকে অসম্মান জনক মনে করা হয় না সেখানে নাম ধরে ডাকাতে কোনো সমস্যা নেই।তবে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ সহ অনেক স্থানেই নাম ধরে ডাকাতে অসম্মান ভাব পরিলক্ষণ করা যায়,তাছাড়া স্বামীর ফযিলত বা অধিকার ও সম্মাণটা একটু বেশীই,এজন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ মাকরুহে তানযিহি বা শরয়ী অপছন্দ মনে করেন।আরব দেশে নাম ধরে ডাকার প্রচলন ছিলো,এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হত না।সেজন্যই তাদের কেউ কেউ ডাকতেন।
আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, স্বামীর খেদমত করা প্রত্যেক নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।অন্যদিকে স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।সুতরাং সম্মাণ প্রদর্শনার্থে অবশ্যই স্বামী এবং পিতা, উস্তাদ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর সম্মাণি ব্যক্তিবর্গকে নাম ধরে ডাকা যাবে না।তবে কোনো প্রয়োজনে স্বামীর নাম যে মুখ দিয়ে উচ্ছারণ করা যাবে না এমন নয়।বরং প্রয়োজনে স্বামীর নাম উচ্ছারণ করা যাবে।(শেষ)
(দ্বিতীয় কথা হল)
https://www.ifatwa.info/509 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়।মহিলা যিহার করলে যিহার হয় না।সুতরাং যিহার হল, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার অঙ্গের সাথে তুলনা করা।আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আহলিয়া আপনাকে ভাই বললে জিহার হবে না।এবং আপনিও আপনার স্ত্রীকে বোন বললে জিহার হবে না। বরং বোনের অঙ্গের সাথে তুলনা করলেই কেবল জিহার হবে।