আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
640 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আমার আহলিয়া আমাকে মাঝে মাঝে ভাই ডাকে। কেন ডাকে প্রশ্ন তোলায় সে বললো, সে নাকি আমাকে ভাই ডাকবেই!

ভাই ডাকার কারণে এখন আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কের ভিতর কোন সমস্যা হবে কিনা? আর সে যেহেতু আমাকে ভাই ডাকে আমি কি তাকে পাল্টা বোন ডাকতে পারব? এখন আমি কী করতে পারি পরামর্শ চাই।

জাযাকুমুল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(প্রথম কথা হল)
https://www.ifatwa.info/1022 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নাম ধরে ডাকা, সম্মোধন করা উরফ তথা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।যেখানে নাম ধরে ডাকাকে অসম্মান জনক মনে করা হয় না সেখানে নাম ধরে ডাকাতে কোনো সমস্যা নেই।তবে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ সহ অনেক স্থানেই নাম ধরে ডাকাতে অসম্মান ভাব পরিলক্ষণ করা যায়,তাছাড়া স্বামীর ফযিলত বা অধিকার ও সম্মাণটা একটু বেশীই,এজন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ মাকরুহে তানযিহি বা শরয়ী অপছন্দ মনে করেন।আরব দেশে নাম ধরে ডাকার প্রচলন ছিলো,এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হত না।সেজন্যই তাদের কেউ কেউ ডাকতেন।

আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, স্বামীর খেদমত করা প্রত্যেক নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।অন্যদিকে স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।সুতরাং সম্মাণ প্রদর্শনার্থে অবশ্যই স্বামী এবং পিতা, উস্তাদ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর সম্মাণি ব্যক্তিবর্গকে নাম ধরে ডাকা যাবে না।তবে কোনো প্রয়োজনে স্বামীর নাম যে মুখ দিয়ে উচ্ছারণ করা যাবে না এমন নয়।বরং প্রয়োজনে স্বামীর নাম উচ্ছারণ করা যাবে।(শেষ)

(দ্বিতীয় কথা হল)
https://www.ifatwa.info/509 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়।মহিলা যিহার করলে যিহার হয় না।সুতরাং যিহার হল, স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার  অঙ্গের সাথে তুলনা করা।আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আহলিয়া আপনাকে ভাই বললে জিহার হবে না।এবং আপনিও আপনার স্ত্রীকে বোন বললে জিহার হবে না। বরং বোনের অঙ্গের সাথে তুলনা করলেই কেবল জিহার হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...