বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ব্যাংকে সুদী কারবারের লেনদেন হয়। আর সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে
আল্লাহ তা'আলা বলেন -
واحل الله البيع و حرم الربوا.
" আল্লাহ
ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)
সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :
"الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."
حكم الحديث: صحيح
"হযরত আবু
হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর
রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ:
অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)
কেউ যদি হারাম টাকা দ্বারা হালাল ব্যবসা করে তাহলে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ
রয়েছে। কেউ কেউ সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ
শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন যা হারাম ছিল, সেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ করার
পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
https://www.ifatwa.info/398 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল
কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার
সম্ভাবনা থাকা।
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর
আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম
কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন
করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর
পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে
সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং
যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে
আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে
আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো
সেক্টরের কাজ হয়,যাতে সুদী
কাজে জড়িত হতে হয় না। যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ
কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে
যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই
রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
১. আপনার যদি ঐ টাকা ছাড়া অন্য কোন
হালাল টাকা থাকে তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে খরচ করবেন। আর যদি না থাকে তাহলে যতটুকু
প্রয়োজন ততটুকু আপনার আম্মুর থেকে ভরণপোষণের টাকা
নিতে পারবেন। তবে হিসাব করে রাখবেন যে, কত টাকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে সামর্থ্য হলে সেই পরিমান টাকা
গরীব দু:খীদের সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন।
২. কেউ যদি
হারাম টাকা দ্বারা হালাল ব্যবসা করে তাহলে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ
কেউ সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা
মূলধন যা হারাম ছিল, সেই মালকে
মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন।
৩. আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী
বেশী দুআ করবেন যাতে এই রোগ থেকে আল্লাহ তায়ালা সুস্থ করে দেন।