আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
শায়েখ, একদল উলামায়ে কেরামসের মতে বর্তমানে জি হা দ ফরযে আইন কারণ আজ পুরো পৃথিবীতে মুসলিম উম্মাহ নির্যাতিত-নিপীড়িত।
আরেক দল উলামায়ে কেরামদের মতে জি হা দ ফরযে আইন না৷ কারণ আমরা এখনো মক্কি যুগে আছি। তাই শুধু নির্যাতন সহ্য করে যাবো কোন প্রতিরোধ করব না। যখন খেলাফাহ কায়েম হবে তখন জি হা দ করব।
আমার কথা হলো, খেলাফাহ কি এমনি এমনি কায়েম হবে?
আমরা জানবো কি ভাবে জি হা দ আমাদের উপর কখন ফরয। কারণ এখন তো আর ওহি আসবে না। রাসুল ﷺ যুগে আল্লাহ ওহি দ্বারা জানিয়ে ছিলেন জি হা দ করার জন্য। তাহলে আমরা কি ভাবে বুঝবো জি হা দের সঠিক সময় কোনটি??

এখন আমার প্রশ্ন এই দুই দলের আকিদার মধ্যে কোনটি সঠিক?? আমাদের কোন আকিদা গ্রহণ করা উচিত?? এই বিষয়টা বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে ভালো হয়৷
আকিদার বিষয় তাই আমি জানতে চাচ্ছি। কারণ আমার আকিদা যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমি ফিতনায় পরে যেতে পারি। আর আকিদাই তো সবকিছুর মুল। অনেক উলামায়ে কেরামের মতে আমরা যারা এই আকিদা মানি যেটা হলো জি হা দ ফরযে আইন যার কারণে আমরা খারেজি কারণ আমাদের আকিদা সঠিক না৷ শায়েখ, আাশা করি এই বিষয় বুঝিয়ে দিবেন।

এবং আমাদের আইওএম মাদ্রাসা এই বিষয় কোন আকিদা পোষণ করেন বলে ভালো হয়। শায়েখ
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (711,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/33756 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আই,ও,এম, কুরআন সুন্নাহর আলোকে প্রত্যেকটা বিষয়কে ব্যখ্যা করে থাকে। দারুল উলূম দেওবন্দ সহ বিশ্বের যত বিশুদ্ধ আকিদা সম্পন্ন প্রতিষ্টান রয়েছে, সেই সবগুলোকে আই,ও,এম, বিশেষ গুরুত্বর সাথে ফলো করে থাকে।

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত যা দুনিয়ার সর্বত্রই স্বীকৃত।যার অনুসারী উম্মাহর সিংহভাগ। সেই জামাতের অনুসরণ আই,ও,এম করে থাকে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত শুধু দেওবন্দ নয়। এবং শুধুমাত্র আশায়েরা বা মাতুরিদি নয়,বরং বিশুদ্ধ আকিদার সবাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত।

ভারতীয় উপমহাদের প্রায় সবাই এমনকি বলা যায় যে, হানাফি ফিকহের প্রায় সবাই মাতুরিদি আকিদায় কুরআন সুন্নাহর ব্যখ্যা করে থাকেন, সেই হিসেবে বলা যায় যে, আই,ও,এম ও মাতরিদি আকিদায় ব্যখ্যা করে থাকে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আকিদার মধ্যে আল্লাহর জাত ও সিফাত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়, আর আল্লাহর জাত ও সিফাত নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হাদীসে বলা হয়েছে।
https://www.ifatwa.info/12930 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)(শেষ)

আমরা মানুষের ইবাদতের বিষয়ে পরামর্শ দেই।আপনি যে আকিদার কথা জিজ্ঞেস করেছেন, সেটা অত্যান্ত জটিল একটি বিষয়, তাছাড়া নিজের আখেরাতকে শংকা মুক্ত করতে এই আকিদা সম্পর্কে চুলচেরা গবেষণা করার বর্তমানে তেমন প্রয়োজনিয়তা অনুভব করছি না।আপনাকে একটা পরামর্শ দেই, আপনি আপনার স্থানীয় কোনো দারুল ইফতায় প্রশ্নটি লিখে পাঠান বা সরাসরি সেখানে উপস্থিত হয়ে মুফতি সাহেব  থেকে জানার চেষ্টা করুন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আম্রিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...