আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমি ও আমার স্বামী আমার শ্বশুরের বানানো বাড়িতে থাকি। আমি বিয়ের পর জানতে পারি, আমার শ্বশুর ব্যাঙ্কে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন যা কয়েক বছর পরে প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায় ব্যাঙ্কের সুদ যোগ হয়ে এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি বাড়ি বানিয়েছেন। ঠিক কত টাকা সুদ হতে প্রাপ্ত তার যথাযথ হিসাব বের করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার স্বামীর আয় কম এবং আমি গৃহিনী। আমাদের পক্ষে আলাদা বাসায় থাকা সম্ভব না।
১) এখন এই বাড়িতে বসবাস করা কি আমার জন্য হারাম?
২)এই বাড়ি থেকে যে বাড়ি ভাড়া আসে তা দিয়ে যে খাবার কিনা হয় তা খাওয়াও কি আমার জন্য হারাম?
৩)সেই টাকা দিয়ে বিয়ের মোহর পরিশোধ করলে তা নেওয়া কি জায়েজ?
৪) ভবিষ্যতে আমার স্বামী যখন সেই বাড়ির অংশীদার হবেন তখন কি তা আমাদের জন্য হারাম হবে?
৫) এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

বিসমিল্লা-হির  রহ:মা-নির  রহী:ম।

জবাবঃ

হারাম টাকার বিধান হলতা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে। (মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

 

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারাআয়াত:২৭৫)

 

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেনরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

কেউ যদি হারাম টাকা দ্বারা হালাল ব্যবসা করে তাহলে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ কেউ সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন যা হারাম ছিলসেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

. উক্ত বাড়ীতে বসবাস করা আপনাদের জন্য জায়েজ হবে  তবে  উক্ত বাড়ী নির্মাণ করার সময় যেই পরিমাণ সুদের অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া  এখন থেকে সম্ভব হলে অল্প অল্প করে  সদকাহ করে দিবেন। কত টাকা সুদের থাকতে পারে তা সবাই মিলে অনুমান করে বের করবেন।

২. না, তা খাওয়া হারাম নয়। তবে  উক্ত বাড়ী নির্মাণ করার সময় যেই পরিমাণ সুদের অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া  এখন থেকে সম্ভব হলে অল্প অল্প করে  সদকাহ করে দিবেন। কত টাকা সুদের থাকতে পারে তা সবাই মিলে অনুমান করে বের করবেন।

৩. হ্যাঁ, তা নেওয়া জায়েজ।

৪. আপনার স্বামী অংশীদার হতে পারবেন। তবে তবে  উক্ত বাড়ী নির্মাণ করার সময় যেই পরিমাণ সুদের অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া  এখন থেকে সম্ভব হলে অল্প অল্প করে  সদকাহ করে দিবেন। কত টাকা সুদের থাকতে পারে তা সবাই মিলে অনুমান করে বের করবেন।

৫. আপনাদের জন্য করণীয় হলো, আপনারা ঐ বাসাতেই থাকবেন। তবে উক্ত বাড়ী নির্মাণ করার সময় যেই পরিমাণ সুদের অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া  এখন থেকে সম্ভব হলে অল্প অল্প করে  সদকাহ করে দিবেন। কত টাকা সুদের থাকতে পারে তা সবাই মিলে অনুমান করে বের করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 293 views
...