উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মুসলমান হোক বা বিধর্মী হোক,এটা হুকুকুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার।
হুকুকুল ইবাদ এর সাথে সম্পৃক্ত গুনাহ থেকে তওবা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল: অন্যায়ভাবে অর্জিত সম্পদ মালিককে ফেরত দেওয়া এবং এটা থেকে মুক্ত হওয়া।
,
আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয়; সে দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম থাকলে সেটা থেকে তার যুলুমের পরিমাণ কেটে নেয়া হবে। আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপের কিছু তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।"[সহিহ বুখারী (২৪৪৯)]
,
যখন কোন মানুষ কারো সম্পদ নষ্ট করে বা চুরি করে এবং তার পক্ষে তাকে জানানো কঠিন হয়ে যায় কিংবা জানালে সংকট আরও বাড়ার আশংকা থাকে; যেমন— তাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হওয়া; সেক্ষেত্রে জানানোটা আবশ্যকীয় নয়। বরং সম্ভাব্য যে কোন পদ্ধতিতে তাকে সম্পদটা ফিরিয়ে দিবে; যেমন তার একাউন্টে জমা করে দেওয়া কিংবা এমন কাউকে দেওয়া যে তার কাছে পৌঁছিয়ে দিবে কিংবা এ ধরণের অন্য কোন মাধ্যমে।
,
প্রশ্নকারীর উপর আবশ্যকীয় হিসেব করা সম্ভবপর না হলে অনুমান করে টাকা ধরে সেই সম্পদ ফিরিয়ে দেয়া; এমনকি সেটা তার পক্ষে কঠিন হলেও; যেহেতু এটি সম্ভবপর।
,
যদি সম্পদ তার মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভবপর হয় তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যকীয়; কেননা তারাই এর হকদার।
,
এ সম্পদ খরচ করার অধিকার তাদেরই। তাদেরকে না জানিয়ে তাদের সম্পদ দান করা জায়েয নয়;
,
কারণ কোন ব্যক্তির জন্য অন্যের সম্পদ থেকে তার অজান্তে গরীবদের মাঝে দান করা সঙ্গত নয়। সে নিজের সম্পদ থেকে যা খুশি দান করতে পারে।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি অনুমান করে ড়াকা উক্ত বিধর্মী কোম্পানিকে ফিরিয়ে দিবেন।
তাদেরকে যদি আপনি উক্ত সম্পদ ফিরিয়ে না দেন,আর তারাও যদি আপনাকে মাফ না করে,তাহলে কিয়ামতের ময়দানে পরিস্থিতি অনেক কঠিন হবে।
,
তাই দ্রুত তাদের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে।