بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الۡمُؤۡمِنٰتِ وَ
الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ اِذَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ
اُجُوۡرَہُنَّ مُحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ وَ لَا مُتَّخِذِیۡۤ اَخۡدَانٍ ؕ
وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُہٗ ۫ وَ ہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ
مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের আগে যাদেরকে কিতাব
দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারীদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হল যদি তোমরা তাদের
মাহর প্রদান কর বিয়ের জন্য, প্রকাশ্য ব্যভিচার বা গোপন প্রণয়িনী গ্রহণকারী হিসেবে নয়।
আর কেউ ঈমানের সাথে কুফরী করলে তার কর্ম অবশ্যই নিষ্ফল হবে এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা মায়েদা
০৫)
বিবাহ কেবল সামাজিক বন্ধন নয়। মুসলমানদের
জন্য এটি একটি ইবাদতও। নবীজী সা. এক হাদিসে বলেছেন। “বিবাহ করা আমার সুন্নাত আর যে আমার
সুন্নাত থেকে (অবজ্ঞার সাথে) দূরে থাকবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় (বুখারী শরীফ-হাদিস
নং-৪৭৭৬)
আর ইবাদত সহীহ হবার জন্য মুসলমান হওয়া আবশ্যক। সুতরাং
মুসলমানদের জন্য কোন নাস্তিক-মুরতদ, কাফের-মুশরিকের
সাথে বিবাহ করা জায়েজ নয়। যদি বিবাহ করেও তাহলে এই বিবাহ সহীহ হবেনা। বিবাহের পর স্বামী
বা স্ত্রী যদি নাস্তিক-মুরতাদ বা কাফের হয়ে যায় (আল্লাহ
তায়ালা আমাদের হিফাযত করুন) তাহলে তাদের মাঝের বিবাহ বন্ধন বাতিল
হয়ে যায়।
নাস্তিক-মুরতাদের সাথে বিবাহ করা জায়েজ নয়। ব্যক্তি মুসলমান
অবস্থায় বিবাহ করার পর নাস্তিক মুরতাদ হয়ে গেলে তার বিবাহ বাতিল
হয়ে যায়। নাস্তিক-মুরতাদের জন্য মুসলিম , কাফের , নাস্তিক-মুরতাদ কোন মহিলাকেই বিবাহ করা
জায়েজ নয়। (ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৭৬, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২৮২, আল বাহরুর রায়েক-৩/২০৯)
قَوْله تَعَالَى { وَمَنْ يَكْفُرْ
بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
سورة المائدة-5)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-ঈমান আনার পর যে ব্যক্তি কুফরী করে
তার সকল আমল বাতিল হয়ে যায়। আর সে আখেরাতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত। (সূরা মায়িদা-৫)
ولا يجوز للمرتد أن يتزوج مرتدة ولا مسلمة ولا
كافرة أصلية وكذلك لا يجوز نكاح المرتدة مع أحد كذا في المبسوط(الفتاوى
الهندية-1/282)
মৌলিকভাবে মুরতাদের জন্য মুরতাদকে, কোন মুসলিমকে, এবং কোন কাফেরকেও বিবাহ করা জায়েজ নয়।
(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ০১/২৭২)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনার স্বামী নামাজ, রোজা, যাকাত ইত্যাদী আদায় না করে
তাহলে ফাসেক হিসেবে বিবেচিত হবে, তবে কাফের হবে না। কিন্তু তিনি যদি শরিয়তের
স্পষ্ট কোন বিধানকে অস্বীকার করেন তাহলে তিনি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেন। এমন পরিস্থিতিতে
আপনার জন্য করণীয় হলো, আপনি আপনার স্বামীর হেদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট খুব
দোয়া কান্না কাটি করবেন ও মুহাব্বতের সাথে তাকে বুঝাতে থাকবেন।
সাথে সাথে কোন নির্ভরযোগ্য
মান্যবর আলেমের সাথে তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করবেন, যিনি তার বিভিন্ন সংশয় নিরসনের
জন্য তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। আল্লাহ তায়ালার একটি নাম মুকাল্লিবুল কুলুব (অন্তর
পরিবর্তনকারী)। আল্লাহ তায়ালা চাইলে মহূর্তের মধ্যেই তার অন্তর পরিবর্তন করে তাকে
হেদায়েত দিতে পারেন। পরিশেষে যদি কোন ভাবেই তিনি পূর্বের অবস্থান থেকে ফিরে না আসেন
তাহলে পারিবারিক ভাবে উক্ত বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত
মনে করেন তা করতে পারেন।