জবাবঃ-
সন্তান দত্তক নেওয়া মানে কোনো সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা, অভিবাবকত্ব গ্রহণ করা ও জিম্মাদারি নেওয়া।তা ইসলামে সমর্থিত একটি বিষয়।তবে এক্ষেত্রে বেছা-কেনা করা বৈধ হবে না।
যেমন হাদীসে এসেছে
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি ও এতিমের অভিভাবক জান্নাতে দুই আঙুলের ন্যায় অতি কাছাকাছি থাকব।’ (বুখারি : ৬০০৫)
নবী করিম (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের খোরপোশ ও লালন-পালনের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি : ১৯১৭)
পালিত সন্তান কখনো নিজ সন্তান হবে না, পালিত সন্তান ওরাছতের মালিক ও হবে না।
সুতরাং পালিত মেয়ে সন্তান উক্ত ব্যক্তির গায়রে মাহরাম থাকবে।যাকে উক্ত ব্যক্তি প্রয়োজনে বিবাহ ও করতে পারবে।ঠিকতেমনিভাবে পালিত পুত্র সন্তান উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী বা মেয়ের গায়রে মাহরাম।যাদের মধ্যকার বিবাহ বৈধ।সুতরাংতাদের মধ্যকার শরয়ী পর্দার বিধান আপতিত হবে।
যেমন আল্লামা মুরগিনানি কাদেরকে বিবাহ করা হারাম তার আলোচনা করতে যেয়ে বলেনঃ
قال: " ولا بامرأة أبيه وأجداده " لقوله تعالى: {ولا تنكحوا ما نكح آباؤكم من النساء} [النساء: ٢٢] " ولا بامرأة ابنه وبني أولاده " لقوله تعالى: {وحلائل أبنائكم الذينمن أصلابكم} [النساء: ٢٣] وذكر الأصلاب لإسقاط اعتبار التبني
নিজ পিতা বা দাদার স্ত্রীকে বিবাহ করা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।(সূরা নিসা-২২)
ঠিকতেমনিভাবে নিজপুত্র বা সন্তানের সন্তানের স্ত্রীদের বিবাহ করা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ঐ সমস্ত সন্তানের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা হারাম যাদের জন্ম তোমাদের মেরুদণ্ড থেকে হয়েছে।
সুলব বা মেরুদণ্ড এখানে উল্লেখ করে আল্লাহ তা'আলা দত্তক বা পালিত সন্তানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদেরকে পালনকারী পিতার জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
হেদায়া-নিকাহ অধ্যায়।
যাদের সাথে বিবাহ হালাল তাদের মধ্যকার শরয়ী পর্দা আপতিত হওয়া একটি সর্বজন বিধিত বিষয়।তাই তাদেরকে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।