আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
155 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
দত্তক নেওয়া যাবে কি?
কেউ যদি একজন পুত্র সন্তান দত্তক নেয় তাহলে এবং ওই লোকের যদি আগে থেকেই একজন মেয়ে থাকে তাহলে কি ওই পুত্র সন্তান ওই মেয়ের ভাই হিসেবে বিবেচিত হবে? বা ওই মেয়ের কি ওই পুত্র সন্তানের সামনে পর্দা না করলেও চলবে?
জানালে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

জবাবঃ-
সন্তান দত্তক নেওয়া মানে কোনো সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা, অভিবাবকত্ব গ্রহণ করা ও জিম্মাদারি নেওয়া।তা ইসলামে সমর্থিত একটি বিষয়।তবে এক্ষেত্রে বেছা-কেনা করা বৈধ হবে না। 
যেমন হাদীসে এসেছে
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি ও এতিমের অভিভাবক জান্নাতে দুই আঙুলের ন্যায় অতি কাছাকাছি থাকব।’ (বুখারি : ৬০০৫)
নবী করিম (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের খোরপোশ ও লালন-পালনের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি : ১৯১৭)

পালিত সন্তান কখনো নিজ সন্তান হবে না, পালিত সন্তান ওরাছতের মালিক ও হবে না।
সুতরাং পালিত মেয়ে সন্তান উক্ত ব্যক্তির গায়রে মাহরাম থাকবে।যাকে উক্ত ব্যক্তি প্রয়োজনে বিবাহ ও করতে পারবে।ঠিকতেমনিভাবে পালিত পুত্র সন্তান উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী বা মেয়ের গায়রে মাহরাম।যাদের মধ্যকার বিবাহ বৈধ।সুতরাংতাদের মধ্যকার শরয়ী পর্দার বিধান আপতিত হবে।
যেমন আল্লামা মুরগিনানি কাদেরকে বিবাহ করা হারাম তার আলোচনা করতে যেয়ে বলেনঃ 
قال: " ولا بامرأة أبيه وأجداده " لقوله تعالى: {ولا تنكحوا ما نكح آباؤكم من النساء} [النساء: ٢٢] " ولا بامرأة ابنه وبني أولاده " لقوله تعالى: {وحلائل أبنائكم الذينمن أصلابكم} [النساء: ٢٣] وذكر الأصلاب لإسقاط اعتبار التبني 
নিজ পিতা বা দাদার স্ত্রীকে বিবাহ করা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।(সূরা নিসা-২২)
ঠিকতেমনিভাবে নিজপুত্র বা সন্তানের সন্তানের স্ত্রীদের বিবাহ করা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ঐ সমস্ত সন্তানের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা হারাম যাদের জন্ম তোমাদের মেরুদণ্ড থেকে হয়েছে।
সুলব বা মেরুদণ্ড এখানে উল্লেখ করে আল্লাহ তা'আলা  দত্তক বা পালিত সন্তানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদেরকে  পালনকারী পিতার জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
হেদায়া-নিকাহ অধ্যায়।

যাদের সাথে বিবাহ হালাল তাদের মধ্যকার শরয়ী পর্দা আপতিত হওয়া একটি সর্বজন বিধিত বিষয়।তাই তাদেরকে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...