বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা গায়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ব্যাতিত চন্দ্র সূর্য সহ সকল কিছুকে সেজদাহ করতে নিষেধ করেছেন।
সেজদাহ শুধু আল্লাহকেই করতে আদেশ করেছেনঃ
وَ مِنۡ اٰیٰتِہِ الَّیۡلُ وَ النَّہَارُ وَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ ؕ لَا تَسۡجُدُوۡا لِلشَّمۡسِ وَ لَا لِلۡقَمَرِ وَ اسۡجُدُوۡا لِلّٰہِ الَّذِیۡ خَلَقَہُنَّ اِنۡ کُنۡتُمۡ اِیَّاہُ تَعۡبُدُوۡنَ ﴿۳۷﴾
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চাঁদকেও নয়; আর সিজদাহ কর আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদত কর।
(সুরা হামিম সাজদাহ ৩৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হজরত কিস বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘আমি হিরা নামক স্থানে গিয়েছি। সেখানে দেখলাম, মানুষ তাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করছে। আমি (মনে মনে) বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) সিজদা পাওয়ার অধিক হকদার। তারপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললাম, হিরা নামক স্থানে আমি দেখেছি, সেখানকার লোকেরা রাষ্ট্রপ্রধানদের সিজদা করে। আপনি তো আল্লাহর রাসুল। আপনি তো এ বিষয়ে অধিক হকদার। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি যদি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাও, তাহলে কি তাকে সিজদা করবে? আমি বললাম, না। অতঃপর মহানবী (সা.) বলেছেন, কখনো এমনটি করবে না। আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তাদের স্বামীদের সিজদা করতে। কেননা আল্লাহ তাআলা স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের বিশেষ হক দিয়েছেন।’
(মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ২৮১৭, আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪০, দারেমি, হাদিস : ১৪৬৩)
,
একবার এক গ্রাম্য লোক মহানবী (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে বলেছেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে অনুমতি দিন, আমি আপনাকে সিজদা করতে চাই। মহানবী (সা.) বলেছেন, (আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য সিজদা করা বৈধ নয়) আমি যদি কাউকে কারো উদ্দেশে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদের বলতাম তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে।’ (সুনানে দারেমি, হাদিস : ১৪৬৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি কালেমা শাহাদত পড়ে আল্লাহর কাছে এর জন্য মাফ চায় এবং যদি প্রতিজ্ঞা করে যে আর কোনদিন এভাবে কাউকে সেজদা দেবে না তাহলেই চলবে।
,
পড়াশোনা চালিয়ে গেলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
আখেরাতে তারা সমান নিয়ামত পেয়ে সুখী হবে।
তারা নিজ স্বামীকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে।
,
(০৩)
এতে শিরক হবেনা।
তবে সেজদায় যেনো এমনটি আর মনে না আসে,তাই আপাতত এহেন অবস্থা কেটে যাওয়া পর্যন্ত তার তিলাওয়াত না শোনাই ভালো হবে।
,
(০৪)
হ্যাঁ, জায়েজ।
বরং জরুরিও বটে।
(০৫)
যদি সে কাফের হয়ে না যায়,তাহলে জায়েজ আছে।
আর কাফের হয়ে গেলে তো জায়েজ নাজায়েজ এর কোনো বিধানই নেই।
সেও আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারবে।
,
সুতরাং উভয় ছুরতেই আল্লাহর কাছে দুনিয়াবি কিছুর জন্য দুয়া করতে পারবে।
,
(০৬)
এটি শিরক নয়।
,
(০৭)
না,এটি শিরক নয়।
,
(০৮)
এটা বলা শিরক/কুফরি নয়।
তবে দ্রুত এহেন হারাম সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।