বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রথমেই দেখতে হবে যে উক্ত নাপাক স্থান ভেজা কিনা।
যদি ভেজা হয়,তাহলে আপনার সেই পবিত্র ভেজা কাপড়,অঙ্গ নাপাক হয়ে যাবে।
,
তবে যদি সেই নাপাক স্থান শুকনো হয়,তাহলে ভেজা কাপড় বা অঙ্গ যদি এতো কম ভেজা থাকে যে নাপাক স্থানে স্পর্শের পরেও সেই পাক অঙ্গে বা পাক কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া যায়না।
তাহলে আপনার কাপড় অঙ্গ নাপাক হয়ে যাবেনা।
হ্যাঁ যদি নাপাক স্থানে স্পর্শের পরে সেই পাক অঙ্গে বা পাক কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া যায়,তাহলে আপনার কাপড়,অঙ্গ নাপাক হয়ে যাবে।
(০২)
ওযূ করার সময় এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই অপর অঙ্গ ধৌত করার বিধান সুন্নাত মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত।
এটি ফরজ বিধান নয়।
তবে যদি আসলেই কোনো অঙ্গ না ধোয়া হয়,তাহলে অযু হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، - هُوَ ابْنُ سَعْدٍ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي وَفِي ظَهْرِ قَدَمِهِ لُمْعَةٌ قَدْرُ الدِّرْهَمِ لَمْ يُصِبْهَا الْمَاءُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الْوُضُوءَ وَالصَّلَاةَ . - صحيح
খালিদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর কতিপয় ছাহাবী সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, তিনি ছালাত আদায় করছেন, কিন্তু তার পায়ের পাতায় এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা শুকনো দেখতে পেলেন, যেখানে পানি পৌঁছেনি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে পুনরায় ওযূ করে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন।
সুনানু আবী দাঊদ,, হা/১৭৫ আহমাদ (৩/৪২৪)
★ওযূ করার সময় এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই অপর অঙ্গ ধৌত করার বিধান সুন্নাত মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত।
এটি ফরজ বিধান নয়।
,
কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা যে অযুর ফরজ গুলো সম্পর্কে আয়াত নাযিল করেছেন,সেখানে শুধু চারটি কাজ ছিলো।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি ছিলোনা।
তাই কোনো ব্যাক্তি যদি ওযূ করার সময় এক অঙ্গ শুকানোর পর অপর অঙ্গ ধৌত করে,তাহলেও অযু হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা মায়েদার ০৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর, এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।
,
তবে ইমাম মালিক রহঃ সহ কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ইহা ফরজের অন্তর্ভুক্ত, তাই তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
সমস্যা নেই।
★সুতরাং ওযুর সময় একটি অঙ্গ ধুয়ে সাথে সাথে মুছে ফেলা জায়েজ হবে।
(০৩)
হ্যাঁ সেই কাপড় পড়ে নামাজ পড়া যাবে।
,
সেটি পবিত্র থাকবেনা,তবে এটি মাফ।
,
(০৪)
তাহলে সেই স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার পর এমনটি হলে সেই স্থান পাক করে পুনরায় অযু করতে হবে।
(০৫)
কেননা পেশাবের ক্ষেত্রে সেটি তো এক দিরহাম থেকে কম হবে।
আর পায়খানা থেকে টিস্যু নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে তো পায়ুপথের বাহিরের দিকে নাপাকি আসছেনা।
তার আগেই মুছে নেওয়া হচ্ছে।
যদি নির্দিষ্ট স্থান থেকে নাপাকি বাহিরের দিকে আসে তথা মাখরাজ অতিক্রম করে,তাহলে এক দিরহাম চেয়ে বেশি হলে অবশ্যই সেই অতিক্রম হওয়া স্থান ধোয়া লাগবে।
(০৬)
দুনিয়ার মানুষদের আয়ু কমে আসছে।
কিয়ামতের আগে মানুষের আয়ু আরো কম হতে পারে।
,
(০৭)
হ্যাঁ নামাজ সহীহ হবে।