ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার
সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি
অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু
তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে
বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান!
কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল
ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া
১৪৫৯, সহীহ
আল জামি‘ ৭৬৬২।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. এখানে দাবী উঠিয়ে নেওয়া
বলতে দুইটা অর্থ হতে পারে।
ক. এখন সে ঝামেলার জন্য
সাময়ীক ভাবে ছেড়ে দিচ্ছে তবে সে ভবিষ্যতে সুযোগ হলে তার সম্পদ ফিরিয়ে নিবে এমন আশা
আছে। তাহলে সে এই ক্ষেত্রে ছেড়ে দেয়া সম্পদের ভাগিদার থাকবে। এতে কোন সমস্যা নেই।
খ. সে একেবারে ছেড়ে দেওয়ার
ইচ্ছা। এমনকি যে বর্তমানে সে সম্পদগুলো ভোগ করে আছে তাদেরকে একেবারে ছেড়েই দিয়েছে।
তাহলে এই ক্ষেত্রে দাবি ছেড়ে দেয়া সম্পদের ভাগিদার হওয়া ঠিক হবে না।
২. না, উক্ত সম্পদ নিজের কাছে আসার আগে যাকাত, হজ্ব
আদায় করা লাগবে না।