ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছে-
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।
সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।
ইমাম নববী রাহঃ বলেন,
"فَالْحَاصِل أَنَّ كُلّ مَا يُسَمَّى سَفَرًا تُنْهَى عَنْهُ الْمَرْأَة بِغَيْرِ زَوْج أَوْ مَحْرَم " انتهى
মোটকথাঃ স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ব্যতীত যেকোনো প্রকার সফর থেকে মহিলাকে বাধা প্রদান করা হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই ভাই বালেগ বা তার নিকটতম বয়সী হলে তাকে নিয়েই যাবেন।
যদি তার বয়স ১০/১২ বছর হয়,বুঝবান হয়,তাহলেই তাকে নিয়ে আপনি যেতে পারবেন।
এমতাবস্থায় আপনার জন্য ফুফার সাথে সফর জায়েজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি আপনার ভাইয়ের বয়স নিতান্তই অনেক কম হয়,কোনো মাহরাম পুরুষ বা কোনো মহিলাও আপনার সাথে যেতে রাজি না হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি চেহারা,হাত পা ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে আপনার ফুফুর সাথে যাবেন,গায়রে মাহরামের সাথে যাওয়ার কারনে ইস্তেগফার চালিয়ে যাবেন।
আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন।
,
তার সাথে পাশাপাশি সিটে বসা যাবেনা,কোনো জায়গা বা স্থানে তার সাথে একাকিত্বে হওয়া যাবেনা।
ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।
চেহারা,হাত পা ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে তার সামনে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে।