بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
ধুমপান করা
নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের
জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধুমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আর দুর্গন্ধযুক্ত
অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ।
হাদীস শরীফে ধুমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে
প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
অতএব বিড়ি-সিগারেটের
তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য
এ কারণে নামায ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত
এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং
মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে।
আরো প্রকাশ
থাকে যে, ধুমপানের দুর্গন্ধ নিয়েও যদি কেউ নামায পড়ে নেয় তাহলে তার নামায
আদায় হয়ে যাবে।
(ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমা ১৩/৫৬; আলফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ
১০/১৪৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১)
যে সব কারণে
ধুমপান নাজায়েয:
১) ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি
কারক ও বিভিন্ন রোগের কারণ। সুতরাং ধূমপান সেবন করা নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার
নামান্তর। অথচ ইসলামে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হারাম। (সূরা বাকারা: ১৯৫)
২) এটি মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ।
সুতরাং ধূমপান আত্মহত্যার শামিল। আর ইসলামে আত্মহত্যা করা মারাত্মক অপরাধ।
৩) এর মাধ্যমে ধূমপায়ী নিজের যেমন
ক্ষতি করে অন্যের ক্ষতি করে।
ইসলামে নিজের
বা অন্যের ক্ষতি করা হারাম। (মুয়াত্তা মালিক)
৪) দুর্গন্ধময়। যা অন্যের কষ্টের কারণ।
কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হারাম। (সূরা আহযাব: ৫৮)
৫) অর্থ অপচয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“অপচয়কারী শয়তানের ভাই।” (সূরা ইসরা: ২৭)
আরাফ: ১৫৭)
৬) এটি একটি প্রকাশ্য পাপ। আর প্রকাশ্যে
পাপাচার করার শাস্তি আরও বেশী।
৭) আল্লাহ নির্দেশের লঙ্ঘন। কেননা,
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ও হালাল জিনিস ভক্ষণ করতে আদেশ করেছেন। (সূরা বাকারা:
১৭২)