আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
766 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
মুফতি ইমদাদুল হক হুজুরের কাছে জানতে চাই,
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি আগেও এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে বিরক্ত করেছি সেজন্য ক্ষমা চাচ্ছি আগেই। হুজুর আমার তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে খুব। কি আমল করতে পারি জানাবেন দয়া করে।
প্রশ্ন ১-#  আপনার কাছে একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে, আমার স্বামী বলেছিল এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।  তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ,  বলেছি। তো কি হয়েছে।  এইটুকুও বলে দিতে হবে আমি তেমন কিছু মিন করিনি, এইটা বার বার কেন জিজ্ঞেস করো।"এখন আমার প্রশ্ন হলো সে বিরক্ত হয়ে বলেছে হ্যাঁ বলেছি, এইখানে তালাকের নিয়ত ছিলো না৷ এই কথার মাধ্যমে কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি প্রদান করা হবে??

২#ঃ হুজুর আপনার অন্য একটি ফতোয়া তে দেখেছিলাম বিরক্তিভাব প্রকাশ করে বললে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়না। তাহলে আমার ক্ষেত্রেও তেমনি ঘটেছে? আমি আমার  স্বামীর বিরক্ত হয়ে বলা কথাটা নিয়েই ওয়াসওয়াসায় ভুগছিলাম। কারণ,  যদিও আমি জানি তার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না, তাও বিরক্ত হয়ে হ্যাঁ বলেছি বলার কারনে যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি প্রদান হয়ে যায়, তাহলে তো তার আগের কথাই সত্যি হয়ে যাবে, আমার উপর যদি শর্ত আরোপ হয়ে যায় সেটা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। আপনার উত্তর পেলে এই বিষয় নিয়ে আমার ওয়াস ওয়াসা কেটে যাবে। যদি জানতে পারি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি প্রদান হয়নি।

৩#ঃ ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে কি কি আমল করতে পারি দয়া করে জানাবেন। আজকের পর আর আমার মধ্যে সন্দেহ থাকবে না ইনশাআল্লাহ। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।  তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ,  বলেছি।

এখানে আপনার  প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, হ্যা বলেছি।আপনার প্রশ্নতেও তালাক ছিলনা। তাহলে তার জবাব দ্বারা কিভাবে তালাক হবে???

আপনি যদি আমাদেরকে বিশ্বাস করেন, তাহলে বলবো যে,আপনাদের মধ্যে তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
প্রশ্নের সিরিয়াস কিছু বলতে বুঝিয়েছিলাম তালাকের নিয়ত করেছিল কিনা। তাই ভয় পেয়েছিলাম আমার স্বামীর উত্তর  পেয়ে যেটা সে বিরক্ত হয়ে বলেছিল। আমি তালাক উচ্চারণ করিনি। ধন্যবাদ হুজুর উত্তর দেওয়ার জন্য।  
by (589,140 points)
আপনি কি উত্তর পেয়েছেন? আপনার কি সংশয় দূর হয়েছে। প্রয়োজনে কমেন্টে করবেন।জাযাকিল্লাহ। 
by (34 points)
জ্বি হুজুর। আমার ভয়ের কারণ ছিল হ্যাঁ বলেছি কথাটা। ভেবেছিলাম তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হলো কিনা। কারন আমি যখন তাকে প্রশ্ন করি সিরিয়াস কিছু ভেবে বলো নি তো? তখন বুঝিয়েছিলাম তালাক ভেবে বলেছিল কিনা। তাই আমি প্রশ্ন করেছি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা হ্যাঁ বলেছি কথাটা।
by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি কমেন্ট করেছিলাম যে,আমার কথার মধ্যে তালাক উচ্চারণ করিনি কিন্তু সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো? এই কথার মাধ্যমে বুঝিয়েছিলাম আমার স্বামী তালাকের নিয়ত করেছিল কিনা। আমার এই জিজ্ঞাসায় বিরক্ত হয়ে সে উত্তর দিয়েছিল, হ্যাঁ করেছি/ হ্যাঁ বলেছি। আমি ভয় পাই যখন জানতে পারি তালাক না দিয়েও মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে তালাক হয়ে যায়। যেহেতু আমার স্বামীর কথাটাও সেরকম ছিল, যদিও সে তা বিরক্ত হয়ে বলেছেন তাহলে এই কথার মাধ্যমে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা এইটা নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তার হ্যাঁ বলেছি কথাটার পর আমি বলি যে দেখো মানুষের নিয়তটাই আসল। পরে বলে আমার নিয়ত কি সেটা তুমি কিভাবে জানো? পরে আমি বলি, তাহলে বলো আমাকে। পরে বলে যে এইটুকুও কেন বলে দিতে হবে, তুমি বুঝো না? পরে আমি আবার জিজ্ঞেস করায় পরে বলে যে,  নিয়ত ছিল না। আমার বার বার জিজ্ঞেস করায় সে উত্তর দিতে চাচ্ছিল না৷ তারপর শেষ পর্যন্ত উত্তর দেয়। কিন্তু হুজুর আমার মনে বার বার প্রশ্ন আসছিল, তার হ্যাঁ বলেছি কথাটার মাধ্যমে কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা? দয়া করে উত্তর দিবেন। আপনার উত্তরে বলেছিলেন আমার প্রশ্নে তালাক ছিল না তাহলে উত্তরে কেন তালাক হবে, আসলে হুজুর তালাক আমি উচ্চারণ করিনি কিন্তু ঃ"সিরিয়াস কিছু মিন করো নি তো  "? এই কথার মাধ্যমে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার তালাকের নিয়ত ছিল কিনা। তাই সে প্রথমে বিরক্ত হয়ে হ্যাঁ বলেছি বলে। কিন্তু সেটা সম্পুর্ণ বিরক্ত হয়ে বলে, কোনো তালাকের নিয়েতে বলেনি। তাহলে কি এইটা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে? শুধু এইটুকু জানতে চাই। 
by (589,140 points)
না, এখানে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না। 
by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম, অসংখ্য ধন্যবাদ হুজুর। আপনি আপনার বোনকে সাহায্য করলেন। আমার মনের সব চিন্তা দূর হয়ে গেছে। আল্লাহ আপনাকে এর প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।  আমিন। 
by (589,140 points)
আল্লাহ আপনার মনে প্রশান্তি দূর করুক।আমীন।
by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার মনে শয়তান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা দেয়। কিভাবে এর থেকে মুক্তি পেতে পারি জানাবেন দয়া করে?
আর, একটা শব্দ যেমনঃ ইযা তল্লাকতু, এইটা কি কোনো আরবি শব্দ? আমার মনে হচ্ছিল কিছুদিন আগে কোথাও শুনেছি। এবং মনে মনে এই শব্দ বার বার আসছিল। এইটা কি আমি মনে মনে বলেছি নাকি মুখে উচ্চারন করেছি আমার মনে পরছে না৷ এই শব্দ বলাতে কোনো সমস্যা হবে? বা তালাকের কোনো অর্থ আছে এই শব্দে? দয়া করে জানাবেন। আর আমাকে সমাধান দিবেন কি করে এইসব চিন্তা থেকে আমি বাঁচতে পারি। কি আমল করতে পারি৷ 
by (589,140 points)
যখনই ওয়াসওয়াসা আসবে, তখনই অজু করে নামাযে দাড়িয়ে যাবেন। 
by (34 points)
edited by
ইনশাআল্লাহ  হুজুর।  আর যে কথা টা বলেছিলাম আগে সেটা বলাতে কোনো সমস্যা নেই,  তাই না? মানে আমার ভুল করে বা অর্থ না বুঝে বলাতে সে কথায় তালাকের অর্থ বহন করবে না তো? কথা টা ছিলঃ ইজা তল্লাকতু। অথবা, ইজা তল্লাকতুমুনু এই কথার অর্থ  কি? এই কথার মাধ্যমে কোনো তালাক পতিত হবে না তো? দয়া করে জানাবেন।  
by (34 points)
edited by
দয়া করে বলবেন এই কথার অর্থ কি এবং কোনো সমস্যা হবে কিনা। এই কথার মাধ্যমে কোনো তালাক পতিত হয়ে যাবে না তো? জাযাকাল্লাহ খাইরান। 
by (589,140 points)
আপনার ভুল করে বলাতে বা ভুল  বুঝাতে তালাক পতিত হবে না। 
by (34 points)
edited by
আলহামদুলিল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...