বিসমিহি তা'আলা
হস্তমৈথুনের নিষেধাজ্ঞা যদিও সহীহ সনদে বর্ণিত কোনো হাদীসে সরাসরি আসেনি,তথাপিও তাকে শরীয়তের অন্যান্য দলিলপত্রাদি দ্বারা উলামাগণ হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন।
যেমন আল্লাহ তা'আলা এক আয়াতে বিবাহবহির্ভূত এবং দাসী ব্যতীত সহবাসকে সীমালঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
"এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।"
সূরা-মু'মিনুন-৫-৭
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ বলেন,
হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েয । তবে কেউ কেউ যেমন আল্লামা হাসক্বফী রাহ মনে করেন,যিনা-ব্যবিচার থেকে বাঁচতে কেউ হস্তমৈথুন করে ফেললে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।
আহসানুল ফাতাওয়া-৮/২৪৯
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হস্তমৈথুন হারাম ও কবিরাহ গুনাহ।
কারো বিবাহ করার সামর্থ না থাকলে(যদিও আজকাল এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর) এবং লাগাতার রোজা রাখার পরও যদি কারো যৌনচাহিদা এমন পর্যায়ের থাকে যে, যেকোনো মুহুর্তে হারামে লিপ্ত থাকার প্রবল আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় কেউ কেউ অনুমতি দিয়ে থাকেন।
তাই প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ সম্পাদিত না হওয়াই কাম্য।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ