আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,819 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আমি জানি যে হস্তমৈথুন হারাম। কিন্তু, ইদানিং একটি গ্রুপে বলা হচ্ছে এটা হারাম না। যে বলছে সে কুরআন-হাদিস ও সালাফদের বক্তব্য দিয়ে যুক্তি দিচ্ছে। কিন্তু, আমার মনে হচ্ছে অপব্যাখ্যা। এই প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই বলছি, আপনারা দেখবেন হস্তমৈথুন-পর্ণ এর বিরুদ্ধে দুটি বই বের হয়েছে। একটি মুক্ত বাতাসের খোঁজে। এই নামে গ্রুপও আছে। চালায় lost modesty গ্রুপ এর লোকজন। এখানে হস্তমৈথুন ও পর্ণের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়। এটাই আসল মুক্ত বাতাসের খোঁজে গ্রুপ। আরেকটি বই wael Ibrahim এর beat it বইয়ের অনুবাদ ঘুরে দাঁড়াও।
কিন্তু, মুক্ত বাতাসের খোঁজে নামে আরেকটি গ্রুপ খোলা হয়েছে। যেখানে মেম্বার সংখ্যা কম। সেখানের admin "islamer alo”  নাম এর ফেসবুক আইডি থেকে বলা হচ্ছে হস্তমৈথুন হারাম নয়। আমি এ থেকে বেঁচে থাকতে চাচ্ছি। কিন্তু, এই আইডির লোকটি মনে হচ্ছে আরো পাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সে কুরআন-হাদীস ও সালাফদের বক্তব্যের মাধ্যমে যুক্তি দেয়। এখন হস্তমৈথুন হালাল নাকি হারাম এ ব্যাপারে সঠিক মত জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিহি তা'আলা

হস্তমৈথুনের নিষেধাজ্ঞা যদিও সহীহ সনদে বর্ণিত  কোনো হাদীসে সরাসরি আসেনি,তথাপিও তাকে শরীয়তের অন্যান্য দলিলপত্রাদি দ্বারা উলামাগণ হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন।

যেমন আল্লাহ তা'আলা এক আয়াতে বিবাহবহির্ভূত এবং দাসী ব্যতীত সহবাসকে সীমালঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন- 

"এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।

তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।

অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।"

সূরা-মু'মিনুন-৫-৭

বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ বলেন,

হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ  হারাম ও নাজায়েয । তবে কেউ কেউ যেমন আল্লামা হাসক্বফী রাহ মনে করেন,যিনা-ব্যবিচার থেকে বাঁচতে কেউ হস্তমৈথুন করে ফেললে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।

আহসানুল ফাতাওয়া-৮/২৪৯

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

হস্তমৈথুন হারাম ও কবিরাহ গুনাহ।

কারো বিবাহ করার সামর্থ না থাকলে(যদিও আজকাল এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর) এবং লাগাতার রোজা রাখার পরও যদি কারো যৌনচাহিদা এমন পর্যায়ের থাকে যে, যেকোনো মুহুর্তে হারামে লিপ্ত থাকার প্রবল আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় কেউ কেউ অনুমতি দিয়ে থাকেন।

তাই প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ সম্পাদিত না হওয়াই কাম্য।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আচ্ছা ডাক্টার জাকির নায়েক  কি ভুল বলেছেন যে, হস্তমূইথুন মূবাহা ও হালাল।
উনি তো অনেক  অনেক অনেক কিছু জানেন,আর আমি বাংলাদেশের হুজুরদের বক্তব্য ,বিশ্শ্বাস হয় না, বানায়ে হাদিস বলে, 
by
বাংলাদেশের হুজুরদের কথা/ফতোয়া বিশ্বাস না হবারই কথা। কেনোনা উনারা সব সময় হক কথা বা কোরআন হাদিসের কথা ডিরেক্ট বলেন তো তাই। যা আপনাদের গুনাহের বিপরীতে থাকে
by (2 points)
reshown by
প্রিয় ভাই, 
ডা. জাকির নায়েক সাহেব তিনি আমার মনে হয়না। একজন ছাত্র যিনি সারাবছর ছোট থেকে কষ্ট মুজাহাদা করে বড় হয়েছে, নিজের পরিবার থেকে দূরে, মাদ্রাসায় থেকে ইত্যাদি নানান কষ্ট মুজাহাদা করে নিজের জীবনের অধিকাংশ সময় এলেম অর্জনের পিছনে ব্যয় করেছেন এরকম একজন আলেমের থেকে বেশি জ্ঞানি হবেন। একজন আলেমের সাথে কথা বলার সময় এরকম ভাষা ব্যবহার পরিহার করা উচিত। আল্লাহের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস থেকেই তো প্রমানিত যে, ওলামাদের শান কতটা উর্ধে। এরূপ ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে একটু ভাষা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। 

বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম বানিয়ে হাদিস বলেন এরকম আপনি কোথায় দেখলেন? গুটি কয়েকের জন্যে পুরো অধিকাংশকে দায় সাব্যস্ত করা তো ন্যয়সঙ্গত নয়। তাইনা? বাংলার জমীনে হক্কানি রব্বানি আলেম পূর্বে যেমন ছিল, এখনো আছেন, এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ। ওলামাদের বিরুদ্ধচারন বা ওলামাদের প্রতি ঘৃনা বা অসঙ্গত কিছু রাখা তা কখনো ঠিক নয়। (কিছু মনে করবেন না, ইনশাআল্লাহ।) বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম সম্পর্কে আপনার ধারনা সম্ভবত কম। আপনার ধারনা পরিবর্তন করাটাই উওম হবে আপনার দ্বীনের জন্য। এবং চেষ্টা করুন, ওলামায়ে কেরামদের সম্পর্কে জানতে। ইনশাআল্লাহ, যে অন্তরে ঘৃনা রয়েছে,সেই অন্তরে মহাব্বাতের ফুল ফুটবে ইনশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লহু খয়রন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...