আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
হানাফি মাযহাব এর নিয়মে বিয়ের আগে শর্তযুক্ত তালাক দেয়া যায়,কিন্তু ইমাম শাফি রা: বলেছেন যে বিবাহের আগে কোনো রকম শর্তযুক্ত তালাক দেয়া যাবেনা বিয়ের সাথে নিসবত করে বল্লেও সেটা হবেনা।এখন আমার কাছে ওনার এ কথাটির বেশি গ্রহনযোগ্যতা বেশি লাগছে হানাফি মাযহাব এর তুলনায়।

1.এখন আমি যদি ওনার এই কথাটা মেনে আমল করি যে বিয়ের আগে কোনো শর্তযুক্ত তালাক দেয়া যায়ণা,এটা মেনেই আমল করলে কি আমার এই আমল আল্লাহ তায়ালা এর কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে? নাকি এমন করার কারনে আমার গুনাহ হবে?[আমি আগে মাঝহাব এর বেপারে কিছু জানতামনা মনে হয় হানাফি ই অনুসরণ করেছি এতোদিন]

2.আমি যদি সন্দিহান থেকে বাচতে বিয়ের আগে শর্তযুক্ত তালাক দেই আর পরে আমি আমার পুরো মাঝহাব একেবারে পাল্টিয়ে শাফি তে চলে গেলে কি এই শর্ত থাকবে?নাকি এভাবে মাঝহাব চেঞ্জ করা যায়না?

পয়েন্ট আকারে বিস্তারিত বললে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

হ্যা কুরআন হাদীসে মাযহাবের কথা রয়েছে।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
এই জিজ্ঞাসা এবং সে অনুযায়ী আ'মল করা এর নামই মাযহাব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি শুধুমাত্র এই অজুহাতে অর্থাৎ তালাক সংক্রান্ত কারণে মাযহাব পরিবর্তন করতে পারবেন না।এখানে প্রবৃত্তির অনুসরণ হয়ে যাবে। সুতরাং নির্দিষ্ট একজন মহিলার ব্যাপারে সন্দেহ মুক্ত থাকতে আপনি মাযহাব ত্যাগ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধিবিধানের উপর নিজের চাওয়া পাওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে যাবে। সাময়িক সময়ের জন্য হোক বা চিরস্থায়ী ভাবে হোক, কোনোভাবেই আপনি মাযহাব পরিত্যাগ করতে পারবেন না।

(২)
আপনি মাযহিব পরিত্যাগ করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...