বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/359 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ كُتِبَ الْقُرْآنُ عَلَى الْحِيطَانِ وَالْجُدَرَانِ بَعْضُهُمْ قَالُوا: يُرْجَى أَنْ يَجُوزَ، وَبَعْضُهُمْ كَرِهُوا ذَلِكَ مَخَافَةَ السُّقُوطِ تَحْتَ أَقْدَامِ النَّاسِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
كِتَابَةُ الْقُرْآنِ عَلَى مَا يُفْتَرَشُ وَيُبْسَطُ مَكْرُوهَةٌ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
দেয়ালে লিখিত কুরআনে বিষয়ে শরয়ী বিধি-বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েযই মনে করেন।আবার কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে অপছন্দ করে থাকেন।এজন্য যে,হয়তো তা মানুষের পদতলে পৃষ্ট হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)এবং বসা বা ঘুমানোর জায়গায় কুরআন লিখা মাকরুহ। (গারাঈব)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;৫/৩২৩)
অনুপযুক্ত স্থানে কুরআন লিখা অনুচিত। মসজিদের দেয়ালে অযথা কুরআনের আয়াত না লিখাই ভালো।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৫/২৬৩
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হতাশা দূরীকরণার্থে আপনি দেয়ালে কুরআনের আয়াত লিখে রাখতে পারবেন, তবে শর্ত হল, এমনভাবে রাখবেন,যাতেকরে কুরআনের কোনো অবমাননা না হয়, এবং তা পরবর্তীতে প্রয়োজনে তুলে ফেলা সম্ভব হয়। আপনি যখন পরবর্তীতে রুম ছেড়ে চলে যাবেন, তখন উক্ত আয়াতকে তুলে ফেলবেন।যাতেকরে কুরআন অবমাননা না হওয়া সম্পর্কে পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায়।