আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আসসালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাযজি।

বরাবর একটা বিতর্কিত পরিস্হিতি সৃষ্টি হয় এই একটা বিষয় নিয়ে,অনেকেই বলে থাকেন যে মুসলিম মেয়েদের জন্য মেডিক্যালে পড়া ফরজে কিফাইয়া।

আমি এটার দলিলসহ ব্যাখা জানতে চাচ্ছি।
চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ে সমাজের একশ্রেণির মানুষ পড়বে এটা ফরজে কিফাইয়া,আর আমি এটা পড়েছিলাম এক দারসে যে মেয়েদের ধাত্রীবিদ্যা-মানে বর্তমান চিকিৎসা শাস্ত্র ও সেলাই কাজ শেখার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।

কিন্তু সবাই বার বার এটা বলতে থাকে যে মেয়েদের চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে পড়া ফরজে কিফাইয়া।এখন যদি মুসলিম মেয়েদের জন্য মেডিকেলে পড়া জরুরিও হয় তবে এটা কোন হুকুমের মধ্যে পরবে (ফরজ/সুন্নাহ/মুস্তাহাব)।আশা রাখি একটু বিস্তারিত উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (714,000 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কিছু সংখ্যক পুরুষ এবং কিছু সংখ্যক নারীদের জন্য চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করা ফরযে কেফায়া।কেননা যে হাদীসে ইলম অর্জনকে ফরয বলা হয়েছে, সেখানে মুসলিম (যার অর্থ মুসলমান)শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।আর মুসলমানের ভিতর নারী পুরুষ সবাই অন্তর্ভুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...