আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
470 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আস্সালামু অলাইকুম।

খুব সমস্যার মধ্যে আছি। আপনি রিপ্লাই দিলে অনেক উপকার হতো।

আমি পুরো ঘটনাটি আপনাকে খুলে বলছি।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে একবছর আগে অথবা এর চেয়েও কম সময়। একদিন আমার স্বামীর সাথে ফেইসবুক ম্যাসেন্জারে আমার প্রচন্ড আকারে ঝগড়া হয়। সে খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে এমন কিছু বিচ্ছিরি ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে যা আমি আপনাকে লিখতেও পারবো না। এমন ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে আমাকে তালাক লিখে পাঠায়। এমন তালাকের ম্যাসেজ ভিন্ন সময়ে একই পরিস্থিতিতে সে আমাকে দুইবার পাঠিয়েছে। অবশেষে আমি যখন তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করি তো সে বলে যে সে আমাকে এমন কিছু লেখেনি, রীতিমত অস্বীকার করে। কিন্তু যখন আমি তাকে ম্যাসেজ গুলো দেখাই তখন সে একদম চুপ হয়ে যায় কারণ তার মোবাইল সে ছাড়া অন্য কেউ ধরে না। সে এই ম্যাসেজের ব্যাপারে মনে করার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুই মনে করতে পারেনা।

অতঃপর সে বলে যে, "আমার মনে হয়না যে আমি কখনো এমন ম্যাসেজ লিখেছি। আমার মনে হয় এটা আমি লিখিনি। এমন কথা আমি কখনোই বলিনি। এই ম্যাসেজ কবে কখন কিভাবে তোমায় লিখেছি আমার কিচ্ছুই মনে পড়ছে নাহ।"

তখন আমার মনে হলো যেহেতু বছর খানিক হতে গিয়েছে এজন্য হয়তোবা সে ভুলে গেছে। কিন্তু তখনি আমার খেয়াল হলো যে, একবছর আগের ম্যাসেজ আমার তো সব মনে আছে তাহলে তার কেন নেই? আমি তখন কিছু সাধারণ মানুষদের জিজ্ঞাসা করলাম যে একবছর আগের ম্যাসেজের কথা তাদের স্মরণে আছে কি না? তো তারা আমাকে উত্তর দিলো যে, "যখন কেউ হঠাৎ করে বছরখানেক আগের ম্যাসেজের কথা জিজ্ঞাসা করে তখন অনেক সময় হুট করে কিছু মনে পড়ে না, কিন্তু অতঃপর যখন তারা ম্যাসেজ দেখায় তখন নিজের লেখা দেখার পর সবকিছু মনে পড়ে যায়। তারা আরও বললো যে, মানুষ মুখের কথা ভুলে যেতে পারে কিন্তু নিজের লেখা সহজে ভোলে না।" ইভেন আমি দেখলাম যে বছর খানেক আগে কাউকে পাঠানো ম্যাসেজ সম্পর্কে আমার সব মনে আছে। পুরোপুরি মনে না থাকলেও কিছুটা মনে থাকে। প্রত্যেকটি স্বাভাবিক মানুষেরই বছর খানেক আগের ম্যাসেজ মনে আছে কিন্তু আমার স্বামীর কিছুই মনে নেই। অল্প সংখ্যক তো দূরে থাক উক্ত ঘটনার এক পার্সেন্ট ও তার মনে নেই।

অবশেষে আমার স্বামী আমাদের স্থানীয় মুফতি সাহেবের সাথে আলোচনা করেন। সম্পূর্ণ ঘটনা শোনার পর তিনি বলে যে, "তালাক হয়নি কারণ তোমার কিছু স্মরণে নেই, অর্থাৎ তালাক দেওয়ার সময় তোমার হুশ ছিলো না, হিতাহিত কাণ্ডজ্ঞান ছিলো না। যদি তোমর কিছুটাও স্মরণে থাকতো তাহলে তালাক কার্যকর হয়ে যেতো।"

এরপর আমি নিজেও একজন মুফতি সাহেবকে অনলাইনের মাধ্যমে পুরো ঘটনা লিখে পাঠাই তো তিনি জানান যে, ম্যাসেজ দেখার পর ও যদি স্বামীর কিছু মনে না পড়ে অথবা সে এই ম্যাসেজটি অস্বীকার করে তো এমন অবস্থায় তালাক হয়নি"।

এই ছিলো পুরো ঘটনা। কিন্তু এতকিছু হওয়ার পরেও আমার মোন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। আমি আমার স্বামীকে এই বিষয়ে মাসয়ালা জানার জন্য দুইবার মুফতি সাহেবের কাছে পাঠিয়েছি। আমার স্বামী এবং আমার পরিবারের সদস্যরা রীতিমত আমার উপর বিরক্ত।

কিন্তু আমি এই চিন্তায় কিছুই করতে পারছি না। সারাক্ষণ ভয় হচ্ছে যে কোন গোনাহ না হয়ে যায়। এই ব্যাপারটি মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না।
আপনি কি আমাকে প্লিজ বলবেন যে এখন আমি কি করবো? কি করলে আমার মোনের এই ভয় এবং অস্থিরতা দূর হবে। এবং আমার স্বামীর সাথে সংসার করাতে কি আমার কোন গোনাহ হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রায় প্রস্তুত। তবে আমাদের কে কিছু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।আপনার স্বামীর মুবাইল কি সর্বদা লক করা থাকে?
তিনি কয় তালাক দিয়েছেন?
ঐ তালাকের মেসের আগের ও পরের কিছু কথা আমাদের বলতে হবে?
এ সব তথ্য চাইলে এডিট করে দিতে পারেন।বা কমেন্টে বলতে পারেন।


জবাবঃ-

যেহেতু আপনার স্বামীর মুবাইল লক থাকে,যা আপনি কমেন্টে উল্লেখ করেছেন।এবং আপনি তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত ছিলেন।এবং তালাক সম্পর্কিয় সেই চ্যাটিং এর পূর্বের ও পরের চ্যাটিং দ্বারা অনুমেয় হয় যে,চ্যাটিং এ আপনার স্বামীই ছিলো।সে হিসেবে তালাক পতিত হয়ে যাবে।এখানে পরবর্তীতে অস্বীকার তালাক পতিত হওয়াকে বাধা দিবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৯২)

রাগ তিন প্রকার এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন- 182
এখানে মধ্যম পন্থার রাগ মনে হচ্ছে,যে অবস্থায় অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে তালাক পতিত হবে।

হ্যা যদি পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জানে,এবং সে লিখে রাখে,তাহলে তো তালাক হবে না।তবে এ বিষয়টা সাথে সাথে সমাধান হওয়া প্রয়োজন ছিলো।


সুতরাং আমরা যা বুঝেছি,
মেসেজ আপনার স্বামীই দিয়েছিলো,সে হিসেবে এখন অস্বীকারের কোনো মূল্য নেই।উনি রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন,কিন্তু হিতাহিত জ্ঞান তো হারাননি।যা আপনার কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে,সুতরাং তালাক পতিত হয়ে যাবে।

এখন আপনারা শরয়ী হালালাহ ব্যতীত আর একত্রে বসবাস করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
জ্বী, ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ, আমার স্বামীর মোবাইল লক করা থাকে। আমি নিশ্চিত এটা তারই ম্যাসেজ কারণ লেখার ধরণ তার।
ম্যাসেজের আগে ও পরের কথাগুলো এতোটাই অসস্তিকর যে আমার পক্ষে একদম শব্দ ব্যবহার করা অনেক কষ্টকর তারপরও আমি চেষ্টা করছি।
প্রথমত আমাদের একে অপরের সাথে তর্ক করে শুরু হয়। আমারা তর্ক করতে থাকি। এবং এক পর্যায়ে শুধু সে লেখা শুরু করে আমি তখন মোটামুটি চুপ ছিলাম। একটা লম্বা লাইন ধরে শুধু তারই ম্যাসেজ ছিলো।
লেখার ধরণটা ঠিক এমন-
: prostitute ( খাঁটি বাংলা ভাষায় prostitute কে যে সমস্ত গালি দিয়ে সমোদ্ধন করা হয়।)
:prostitute + something
: ঐ একই ধরনের কথাবার্তা।
: prostitute এড করে লেখা "তোকে আমি এখনি তালাক দিলাম, তালাক তালাক তালাক"
: তোকে বিয়ে না করে একটা কুকুর কে বিয়ে করলে ভালো হতো।
:আবারো ঐ prostitute ধরনের গালিগালাজ।
মোট কথা সে প্রচুর ক্ষিপ্ত ছিলো। এবং খুবই বাজে ভাষা ব্যবহার করছিলো। 
     "<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/share/clipdata_200905_135422_675.sdoc--> <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/share/clipdata_200905_122934_521.sdoc-->
by
আমার প্রশ্নের উত্তরটি এখনো পেলাম না।
by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (129 points)
যেহেতু স্বামীর স্মরণ ছিল না।এমন কি হতে পারে ঠিক সে সময় তার উপরে জ্বীনের আছর ছিল।জ্বীনের আছর থাকলে ভুলে যাবার কথা।ওয়াল্লাহু 'আলাম।হযরত বিষয়টি কি আরেকবার দেখবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...