ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
উম্মে আলক্বামাহ
তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ
يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ
فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ
لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ
الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ
(ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة)
পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ)
থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া
সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ
তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না
পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয
হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন
পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
,
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/78
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. ইম্প্লান্টেশন ব্লিডিং এটা মূলত
কনসিভ করার কিছু দিন পরে দেখা দেয় যাকে ফিকহের পরিভাষায় ইস্তহাজাহ বলা হয়। আর
ইস্তহাজাহ চলাকালিন নামাজ পড়তে হয়। সুতরাং আপনি উক্ত দিনগুলোর নামাজ কাযা করে
নিবেন।
২. শারিরিক ভাবে মায়ের বা পেটের বাচ্চার কোনো ক্ষতি না হলে প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় রোজা রাখা যাবে।