আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার নানার প্রায় 20 বিঘা + জমি ছিল।
আমার আম্মুরা ৪ বোন এবং ১ ভাই। আমার নানা বিভিন্ন কাজে বেশ কয়েক বিঘা জমি বিক্রি করে দিয়েছিল। এবং কিছু জমি আমার বড় খালা-খালু কে উপহার দিসাবে দিয়েছিল। তবে এখানে একটা প্রতারণা করা হয় আমার নানার সাথে, সেটা হলো নানা তাদের ১ বিঘা জমি দিতে চেয়েছিল কিন্তু নানার এই সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় তারা দলিলে ২ বিঘা জমি লিখে নিয়েছিল। এবং পরে তারা শুধু ১ বিঘা জমি দখলে নিয়েছিল যাতে নানা বুঝতে না পারে।
তাদের ১ বিঘা + বিক্রি করার পরে আমার নানার হিসাব মতে প্রায় ১৮ বিঘা জমি ছিল। এবং পরে বিভিন্ন কারণে বডার এলাকার জমি হওয়ায় কিছু জমিতে জমির কিছু অংশ শরিক হিসাবে বের হয়ে যাচ্ছিল তাই নানা সেগুলো পুনরায় রেস্ট্রি করার জন্য আমার মামা কে টাকা দিয়ে পাঠাতো। তখন আমার মামা সেই শরিক এর অংশ সহ কৌশলে উক্ত দাগের পুরো জমিটা নিজের নামে নানার অজান্তেই রেস্ট্রি করে নিত। এভাবে বেশ কয়েক বিঘা জমি মামা নিজের নামে করে নেওয়ার পরে ঠিকা দেওয়ার কথা নানাকে জানিয়ে সেটা বিক্রি করে দিত।
উল্লেখ্য যে, আমার নানা বৃদ্ধ মানুষ হওয়াই জমির সকল দেখা শোনা মামা করতো তাই নানা বিষয় গুলো বুঝতে পরে নাই।

পরে নানা কারো মাধ্যমে এগুলো সম্পর্কে জানতে পেরে মামার কাছ থেকে জমির কাগপত্রগুলো দেখতে চাইলে সে ধরা পড়ে যাবে এই ভয়ে দিতে রাজি হয় না। এবং নানা ভাবে আমার নানাকে হেনস্ত করতে থাকে। পরে বিচার সালিশ এর মাধ্যমে কাগজগুলো নানা হাতে নিয়ে আমার বাবা - মা কে এগুলোর দায়িত্ব দেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমার বাকি তিনটি খালা- খালু গুলো শিক্ষিত না হওয়ায় সেটা আমার বাবা কে দেই। এবং কাগজপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করার পর আমাদের সামনে পরিষ্কার হয় যে মামা অনেকগুলো জমি নানার অজান্তেই নিজের নামে করে নিয়েছে। তাই নানা ১৮ বিঘার হিসাব মতে সকলকে জমি ভাগ করে রেস্ট্রি করে দেয়।
এখানে, বড় খালা কে 2 বিঘা (যেহেতু নানা কে না জানিয়ে চুরি করে ১ বিঘা বেশি জমি লিখে নেই।) মেজো খালা কে ৩ বিঘা এবং সেজো খালা কে ৩ বিঘা এবং আমার মা কে ৩ বিঘা জমি লিখে দেই।

আর মামার জন্য নানার হিসাব মতে ৬ বিঘা জমি রাখা হয় যার মধ্যে মামা আগেই কিছু জমি চুরি করে নিজের নামে করে নিয়ে বিক্রি করে দেই। তাই তার এখন বসত বাদে তেমন কোনো জমি নেই।
এগুলো করার কয়েক বছর পরে নানা মারা যান। আমাদেরকে জমি দখলে দিয়ে দেওয়ার জন্য নানা মাঠে তথা জমিতে আমার বড় ভাই এবং দুইটা খালাতো ভাই এবং স্থানীয় একটা মেম্বার সহ গেলে আমার মামা ও মামাতো ভাই গুলো মিলে আমার নানা এবং আমার ভাই কে অনেক মেরেছিল। তাই নানা পরে আর আমাদের জমি দখলে দিয়ে যাইতে পারেন নাই।

এখন আমার আম্মা ও খালারা আপোষে বসে এগুলো মিটিয়ে নিতে চাইলে মামা আমাদের সাথে বসতে রাজি নয়। বরং তিনি বিভিন্ন ভাবে ভুয়া দলিল বানিয়ে বেড়াচ্ছেন। এবং কিছুদিন আগে রেস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে আমাদের দলিলকে চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
তাই এখন আমরা যেন জমিতে না যেতে পারি তাই তিনি জেলা কোটে গিয়ে আমার বাবা, মা এবং সেজো খালার নামে মিথ্যা মামলা করে এসেছেন।
এমতাবস্থায় আমাদের কি করা উচিত। আগামী 06-02-2022 তারিখে কোর্টের শুনানি আছে।

জমি রেজিস্ট্রি করা থেকে শুরু করে সব কাজ করতে এই পর্যন্ত আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে।

এখন আমরা কি করতে পারি?
অনেক বড় করে লিখতে হলো। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত সম্পদ যেটি আপনার নানা আপনার আম্মার নামে লিখে দিয়েছেন,যেটি কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে আপনাদের দলিলকে চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
সেটি আপনাদেরই সম্পদ।
এটি আপনাদের হক।
,
এটি আপনার মামা কোনো ভাবেই নিতে পারবেনা।
আপনারা চাইলে আইনিপদক্ষেপ জারি রেখে আইনি এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।
,
এটি আপনাদের হক।
আপনার মামা এখানে আপনাদের উপর জুলুম করতেছে। 

★আপনারা আপনার মামার সাথে দেখা হলে সালাম কুশল বিনিময় যথাসম্ভব চালিয়ে যাবেন,তাহলে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হবেনা।
কোনো গুনাহ হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...