আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
retagged by

https://ifatwa.info/34525/ এই প্রশ্নের আলোকেঃ

১. উক্তি ব্যক্তি অবিবাহিত। সে এখন কিভাবে ঈমান আনবে? মানে কি করলে ঈমান আসবে? যা করলে ঈমান আসে সেটা করার জন্য কি ওযু করে নিতে হবে?
২. কাফফারা কি এখনই দিতে হবে নাকি পড়ে দিলেও চলবে? কাফফারা পরে দিবো এই নিয়ত করে কি ঈমান আনা যাবে না?
৩. ব্যক্তি অনেকবার ঈমান বিরোধী কসম কেটেছে। কতবার কসম ভেঙেছে সে জানে না। সে কিভাবে কাফফারা দিবে?
৪. সে তো বলেছিল যে সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হলে সেই ব্যক্তি যেন মুশরিক হয়ে মারা যায় এবং ক্ষমা করলে আল্লাহ যেন কোন ক্ষমতাই নেই। তবুও কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?
৫. কাফফারা দেওয়ার জন্য কি কি করতে হবে? ১ বছর পর কাফফারা দিলে কি এখন ঈমান আনা যাবে না?
৬. কাফের হওয়ার কারণে কি তার পুর্ববর্তী পাপ ও সওয়াব চলে গেছে?
দয়া করে একটু বিস্তারিত লিখে ঈমান বাচাতে সাহায্য করুন।

ঐ ব্যক্তির কি সম্পূর্ণভাবে নিস্পাপ হওয়া সম্ভব না?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ   

وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

‘আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (বাকারা ২ : ২১৭)

(০১)
তওবা করে বিশ্বাস নিয়ে কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করতে হবে।
গোসল/অযু আবশ্যকীয় নয়।    

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ
 واسلامه أي المرتد أن يأتي   بكلمة  الشهادة ويتبرأ  عن الأديان كلها سوي  الإسلام وأن  يتبرأ عما انتقل  إليه 
যার সারমর্ম হলো   প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে  কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে    হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে  হবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)     

আরো জানুনঃ 

(০২)
কাফফারা দেওয়া তার উপর ওয়াজিন।
পড়ে দিলেও চলবে।
কাফফারা পরে দিবেন এই নিয়ত করে ঈমান আনা যাবে।

(০৩)
তিনি যদি কাফের হয়ে যাবে আকীদা নিয়ে উল্লেখিত কাজ করে থাকে,তাহলে তো এ ধরনের প্রথম কসম ভেঙ্গে ফেলার পরই তিনি কাফের হয়ে গেছেন।
তাই একটি কাফফারা দিবে।
,
(০৪)
হ্যাঁ আল্লাহ ক্ষমা করবেন। 
,
(০৫)
পরে কাফফারা দিলেও হবে।

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৬)
মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করলে আগের সব গুনাহ মাফ হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
আগের ছওয়াব মূলক কাজের প্রতিদান তিনি আখেরাতে পাবেন।
,
কাফের হয়ে যাওয়ার আগের কাজা নামাজ গুলির কাজা তাকে আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...