আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
613 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)
এক ব্যক্তি মুসলমান ছিল। ৩০ বছর বয়সের পর ২/৩ বছরের মত নাস্তিক ছিল। এরপর নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় ইসলামে ফিরে আসলো।
১) তাকে কি কারো হাতে বা কারো মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে?
২) নাস্তিক থাকাকালীন সময়ের নামাজ ও রোজা গুলো কি কাযা করতে হবে? কাজা করতে হলে কিভাবে করতে হবে?
৩) নাস্তিকদের জন্য দুনিয়াবী ও আখেরাতের শাস্তি কেমন?

1 Answer

+2 votes
by (574,050 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মুরতাদ ব্যাক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায়,  
★তাহলে তাকে প্রথমে  কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে।
أشهد أن لا إله الا الله  وأشهد أن محمدا عبده ورسوله 
অর্থাৎ তাকে বলতে হবে যে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ, মাবুদ নেই,আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা এবং তার রাসুল।

  ★অতঃপর  ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম বাতিল বলে তাকে ফিরে আসতে হবে।
★অতঃপর তাকে তওবা করতে হবে যে আমার পূর্বের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করিতেছি।
আমি লজ্জিত অনুতপ্ত, আমি আর কোনো দিন এহেন কাজ করিবোনা,এহেন বিশ্বাস স্থাপন করিবোনা।
(তারপর থেকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিধান তাকে মনেপ্রানে,কাজেকর্মে মানতে হবে।)
,
এর পর থেকে তাকে মুসলমান হিসেবে গন্য করা হবে।
(ফাতাওয়ায়ে খতমে নবুয়্যত ১/৩০০) 
,
   ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ
 واسلامه أي المرتد أن يأتي   بكلمة  الشهادة ويتبرأ  عن الأديان كلها سوي  الإسلام وأن  يتبرأ عما انتقل  إليه 
যার সারমর্ম হলো   প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে  কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে    হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে  হবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)     
,
সুতরাং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে মুসলমান হতে হবে,তাকে অন্য কারো হাতে বা কারো মাধ্যমে ইসলাম গ্রহন করতে হবেনা।
,
(০২)       
মুরতাদ হওয়ার পর যদি কেউ মুসলমান হয়,তাহলে মুরতাদ থাকাবস্থায় যে সমস্ত নামায রোযা ছুটেছে,সেগুলোর কোনো কা'যা লাগবে না।বরং মুরতাদ হওয়ার জন্য উনাকে সারা জীবন তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।

ذهب الحنفية والمالكية إلى عدم وجوب قضاء الصلاة التي تركها أثناء ردته؛ لأنه كان كافرا، وإيمانه يجبها
হানাফি এবং শা'ফেয়ী মাযহাব মতে মুরতাদ থাকাবস্থার নামায রোযা কা'যা করতে হবে না।কেননা তখন সে কাফির ছিলো।আর নামায রোযাকে মূলত ঈমানই ওয়াজিব করে থাকে।
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/২০০)

তবে মুরতাদ হওয়ার পূর্বে মুসলমান থাকাবস্থায় যদি কোনো নামায রোযা কা'বা থাকে,তাহলে সেটাকে কা'যা করতে হবে।
,
(০৩) মুরতাদের দুনিয়াবী শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

বিচারকের জন্য নিয়ম হল, মুরতাদকে প্রথমে তওবা করার সুযোগ দিবে। তওবা করলে তো ভালো। অন্যথায় নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ করবে।

মুরতাদের তওবা কবুল করা এবং এ উসিলায় তার শাস্তি মওকুফ করা শরীয়তে মুহাম্মদীর বিধান। 

★আর আখেরাতের শাস্তি হলো চিরস্থায়ী জাহান্নাম।

আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন-
وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
‘আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (বাকারা ২ : ২১৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...