بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
১.জানাযার নামাজ
ফরজে কিফায়া। এ নামাজ মুসল্লিদের জন্য সাওয়াব বর্ধন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ।
জানাযায় লোক সংখ্যা বেশি হওয়া মুস্তাহাব এবং মুসল্লি সংখ্যা যত বাড়তে ততই উত্তম। তবে
কাতার বেজোড় হওয়া উত্তম। জানাযার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার। জানাযার
নামাজ পড়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-
১. প্রথমত মৃত
ব্যক্তিকে ক্বিবলার দিকে সম্মুখে রেখে ইমাম ও মুসল্লিদের দাঁড়ানো।
২. মুসল্লীরা
নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে ইমামের পিছনে ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।
৩. মৃত ব্যক্তি
পুরুষ হলে ইমাম তার মাথার পাশে দাঁড়ানো। আর মহিলা হলে কফিনের মাঝ বরাবর দাঁড়ানো। মৃত
ব্যক্তির মাঝ বরাবর দাঁড়ানোতে কোনো দোষ নেই।
৪. জানাযার
নিয়ত করে চার তাকবিরের সহিত নামাজ আদায় করা।
৫. কাঁধ বা
কানের লতি পর্যন্ত দু’হাত উত্তোলন করে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধা।
৬. অন্যান্য
নামাজের ন্যায় ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।
৭. ছানা পড়া
( سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ
وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ)
৮. দ্বিতীয়
তাকবিরের পর দরূদে ইবরাহিম পড়া।
৯. তৃতীয় তাকবির
দিয়ে ইখলাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহের
মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা।
জানাজার দোয়া:
لَّهُمَّ
اغْفِرْلحَيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا
وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا
فَاَحْيِهِ عَلَى الاِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى
الاْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
তবে নাবালক
ছেলের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে,
اَللَّهُمَّ
اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وْاَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا
شَافِعًا وَمُشَفَّعًا
নাবালিকা মেয়ের
ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে,
اللَّهُمَّ
اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًاوَاجْعَلْهَا لَنَا
شَافِعَةً وَمُشَفَّعَة
১০. চতুর্থ
তাকবির দিয়ে যথাক্রমে ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে জানাযার নামাজ শেষ করা।
২.কোনো মুসল্লির
জানাজার নামাজের তাকবির ছুটে গেলে করণীয় হল, ইমাম সালাম ফেরানোর
পর খাটিয়া উঠানোর আগে মাসবুক তার ছুটে যাওয়া তাকবিরগুলো বলে নামাজ শেষ করবে। এক্ষেত্রে
দুআ পড়া আবশ্যক নয়। অবশ্য যদি মৃতের খাটিয়া উঠানোর আগে আগে দুআও তাকবির উভয়টি পড়ার
সময় পাওয়া যাবে বলে মনে হয় তাহলে পড়বে। আর খাটিয়া উঠিয়ে ফেলার আশংকা থাকলে দুআ পড়বে
না; বরং শুধু তাকবিরগুলো বলে নিবে।
(ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৫১; হাশিয়াতুশ শুরুমবুলালী আলাদ্দুরার
১/১৬৪, বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৩; মাজমাউল আনহুর
১/২৭৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৫; খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ১/২২৩)