আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আমি আমার হবু স্ত্রী কে বলেছিলাম যে,ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে আমার বিয়ের পর তালাক হয়ে যাবে।

এখন আমি সিওর যে আমি যদি বলেছিলাম কিন্তু আমার মনে বার বার ভয় আসতেছে যে আমি যদি যখনই বলে থাকি।আমার মনে আছে যে আমি যদি বলেছিলাম কিন্তু তাও ভয় হচ্ছে যে যখনঈ বলে ফেল্লাম না তো।

1.এখন আমার করনীয় কি,আমি কিভাবে নিশ্চিত হবো?আল্লাহ্র ভয় ঢুকে যে ,যখনই শর্তে পরে গেলে তো সমস্যা।এখন কোনটা আল্লাহ এর কাছে গ্রহনযোগ হবে?

২.আমি কোনো ছেলে বলেছিলাম,এখন কি এটা পরপুরুষ ধরা হবে? আমার নিয়তে আমি ছাড়া অন্ন ছেলে ছিলো তো এখন কি ওর আপন ভাই এর সাথে বা বাবার সাথেও নাচলে তালাক পরে যাবে? নাকি নিয়ত এ পরপুরুষ না থাকলেও পরপুরুষ ধরা হবে?

***দয়া করে পয়েন্ট আকারে বিস্তারিত বলবেন।।

1 Answer

0 votes
by (574,590 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ ابن نجیم: ومنہا شک ہل طلق ام لا؟ لم یقع شک انہ طلق واحدۃ او اکثر؟ بنی علی الاقل کما ذکر الاسبیجابی۔ (الاشباہ والنظائر۶۴ قاعدۃ من شک ہل فعل ام لا)
 الاشباہ والنظائر فی الفقہ الحنفی۶۰ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি সন্দেহ করে যে সে তালাক দিয়েছে নাকি দেয়নি,,,
তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
কেহ যদি সন্দেহ করে যে এক তালাক দিয়েছে? নাকি এর চেয়ে বেশি? 
তাহলে কমটাই পতিত হবে।    

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
যেহেতু আপনি শিউর যে যদি বলেছিলেন,তাই এটিই সঠিক।
"যখনই" এটি বলার উপর আপনি যেহেতু সন্দিহান,তাই এটির ধর্তব্য নেই।

আরো জানুনঃ 

(০২)
আপনার নিয়তে আপনি ছাড়া অন্য ছেলে এখানে উদ্দেশ্য ছিলো,তাই পরপুরুষ এখানে উদ্দেশ্য হবে।
সে তার ভাই/বাবার সাথে বিবাহের আগে নাচলে আপনার সাথে বিবাহ হওয়া মাত্র তালাক পতিত হবেনা।
,
এক্ষেত্রে যেহেতু শর্তযুক্ত তালাকে কোনো সংখ্যা লেখা নেই,তাই কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সাথে নাচলে এক তালাক হবে।
পুনরায় সেই মেয়েকে বিবাহ করে নেওয়া যাবে।   
ইতিপূর্বে কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সেই মেয়েকে বিবাহ করার ক্ষেত্রে যেহেতু এতো ঝামেলা হচ্ছে,তাই অন্য মেয়েকে বিবাহ করুন।
আর যদি তাকেই বিবাহ করতে হয়,তাহলে সেই মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো ছেলের সাথে নাচার সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত বিবাহ করে ফেলুন।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...