আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in সালাত(Prayer) by (32 points)

আসসালামু'আলাইকুম, 

১। সালাত আদায় করতে গিয়ে সুরা ফাতিহার পর সুরা লাইল পড়ার সময় فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْيُسْرَىٰ , فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْعُسْرَىٰ এই দুই আয়াত নিয়ে কিরাত পাঠের সময় আমার মনে সন্দেহ জাগে যে আমি فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْيُسْرَىٰ আয়াত পড়লাম নাকি এই فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْعُسْرَىٰ এই আয়াত পড়লাম। অতঃপর فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْعُسْرَىٰ এই আয়াত ভেবে রুকু করলাম আর সন্দেহ থাকার কারনে সাহু সিজিদাহ করলাম। এতে কি নামাজ কোনো সমস্যা হওয়েছে? বিতিরের সালাত আদায় করছিলাম।

২। সালাত আদায়ের সময় মাঝে মাঝে অনেক ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে। এসময় কি أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ পড়ে বাম কাধে থুথু নিক্ষেপ করার হাদিস কি আছে? আর থাকলে নিয়মটি কেমন? বৈঠকে কেমন? কিরাত পাঠের সময় কেমন?

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত দু'টি আয়াতের একটির স্থলে অন্যটি পড়ার কারণে যেহেতু অর্থ সম্পূর্ণই পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই নামায ফাসিদ হয়ে গেছে।সাহু সিজদা দিলেও আর কাজ হবে না।বরং নামায ফাসিদ বলেই গণ্য হবে।

হ্যা, একটির স্থলে অন্য আয়াত পড়ার পর যদি আবার শুদ্ধ করে পড়ে নেয়া হয়, তাহলে নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। এবং তখন সাহু সিজদারও প্রয়োজন পড়বে না।

(২)
নামাযের মধ্যে ওয়াসওয়াসা আসলে কিছুই বলার প্রয়োজন নাই।মনে ইস্তেগফার করে নিবেন।তবে যবান দ্বারা কিছুই উচ্ছারণ করার আর প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা আপনি যে হাদীসের কথা বলছেন, সেই হাদীসে নামাযের বাহিরের কথা বলা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 123 views
...