ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1111 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্ত্রী তার স্বামীর মাল থেকে ওয়াজিব হক্ব পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতে পারবে।অর্থাৎ স্বামীর উপর স্ত্রীর খোরাকি এবং নিজ সন্তানাদির খোরাকি পরিমাণ শরীয়ত কর্তৃক যা ওয়াজিব ছিলো, সেটাকে স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে।
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"
(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে।
স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মৌখিক সম্মতি বা মৌন সম্মতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1111
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার দুলাভাই যদি এসব জিনিষপত্রের মালিক আপনার বোনকে বানিয়ে দেন, এবং আপনার বোন এসব জিনিষপত্র আপনাকে দেয়, তাহলে এসব জিনিষপত্র আপনার জন্য হালাল হবে। কিন্তু যদি আপনার দুলাভাই আপনার বোনকে মালিক বানিয়ে না দিয়ে বরং ব্যবহার করার জন্য দেয়, এবং এসব জিনিষ আপনার বোন আপনাকে দেয়, তাহলে এসব জিনিষ আপনার জন্য হারাম হবে না।বরং জায়েযই হবে।