আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
308 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

বাসাবাড়িতে গৃহপালিত হাস মুরগির ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়।অনেসময় এই রোগাক্রান্ত হাস মুরগিকে মৃত্যুর প্রায় আগ মুহূর্তে জবাই করলে তার মাংস খাওয়া কি জায়েজ হবে?

উল্লেখ্য সুস্থগুলোর চেয়ে রোগাক্রান্ত গুলোকে জবাই করলে রক্ত অনেক কম প্রবাহিত হয়।এমন অবস্থায় জবাইকৃত পশুর/পাখির মাংস খাওয়া কি জায়েজ হবে?এবং জবাইয়ের পর সেটি কিছুক্ষণ জীবিত ছিলো!

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো হালাল প্রানী বিসমিল্লাহ বলে জবাইয়ের পর যদি রক্ত প্রবাহিত হয়,তাহলেই সেই প্রানী খাওয়া যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَلْقَى الْعَدُوَّ غَدًا وَلَيْسَ مَعَنَا مُدًى أَفَنَذْبَحُ بِالْمَرْوَةِ وَشِقَّةِ الْعَصَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرِنْ - أَوْ أَعْجِلْ " - مَا أَنْهَرَ الدَّمَ، وَذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلُوا مَا لَمْ يَكُنْ سِنًّا أَوْ ظُفْرًا، وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنْ ذَلِكَ، أَمَّا السِّنُّ: فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفْرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ ". وَتَقَدَّمَ بِهِ سَرْعَانٌ مِنَ النَّاسِ فَتَعَجَّلُوا فَأَصَابُوا مِنَ الغَنَائِمِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ النَّاسِ، فَنَصَبُوا قُدُورًا، فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقُدُورِ فَأَمَرَ بِهَا فَأُكْفِئَتْ، وَقَسَمَ بَيْنَهُمْ فَعَدَلَ بَعِيرًا بِعَشْرِ شِيَاهٍ، وَنَدَّ بَعِيرٌ مِنْ إِبِلِ الْقَوْمِ، وَلَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ خَيْلٌ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَحَبَسَهُ اللَّهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِهَذِهِ الْبَهَائِمِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ، فَمَا فَعَلَ مِنْهَا هَذَا فَافْعَلُوا بِهِ مِثْلَ هَذَا صحيح

রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলি, হে আল্লাহর রাসূল! ‘আমরা আগামীকাল সকালে শত্রুর মোকাবিলা করবো। কিন্তু আমাদের কাছে ছুরি নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এমন বস্তু দ্বারা দ্রুত যবাহ করো যা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়, আল্লাহর নাম নিয়ে যবাহ করো এবং তা খাও, কিন্তু দাঁত অথবা নখ দিয়ে যবাহ করো না। আমি এর কারণ তোমাদের বলছি। দাঁত হচ্ছে হাড় আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি। সৈন্যদের কিছু লোক সামনে অগ্রসর হয়ে কিছু গানীমাত লাভ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছনের দিকে ছিলেন। তারা গোশতের হাড়ি চুলায় বসালো।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ডেগের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর নির্দেশ মোতাবেক গোশতের হাড়িগুলো উপুড় করে ফেলে দেয়া হলো। তিনি তাদের মধ্যে গানীমাত বণ্টন করলেন এবং একটি উটকে দশটি বকরীর সমান ধরলেন। দলের মধ্যকার একটি উট পালিয়ে যায়। তখন তাদের নিকট ঘোড়া ছিলো না। এক লোক (উটকে লক্ষ্য করে) তীর ছুঁড়লে মহান আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরূপ পশুর মধ্যেও পালাতে তৎপর পশু আছে, বা বন্য পশুর মধ্যেও থাকে। সুতরাং (যে পশু পালাবে) তোমরা সেটির সাথে এরূপ আচরণ (তীর নিক্ষেপ) করবে।
(আবু দাউদ ২৮২১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রোগাক্রান্ত হাঁস মুরগী গুলো জবাইয়ের পূর্বে যেহেতু জীবিত ছিলো,জবাইয়ের কারনে পরিমানে অল্প হলেও রক্ত বের হয়েছিলো,জবাইয়ের পর কিছুক্ষন জীবিতও ছিলো,সুতরাং এ ধরনের হাঁস মুরগী খাওয়া হালাল।
কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
উস্তাদ,,, রোগাক্রান্ত হাঁস মুরগি জবাই এর পর  যদি নড়াচড়া না করে তাহলে ঐই হাঁস মুরগি খাওয়া কি হালাল হবে??
by (575,580 points)
জবাইয়ের পর যদি প্রবাহিত রক্ত বের হয়,সেক্ষেত্রে সেই প্রানী খাওয়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 226 views
...