ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
1900 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত শিক্ষাবৃত্তি সাধারণত সূদের টাকা থেকেই দেওয়া হয়।
আর সুদের টাকা গরিব মিসকিন খেতে পারে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিষয়টি যদি এমনই হয় অর্থাৎ কোনো ব্যাংক যদি সেই শিক্ষাবৃত্তি দেয়,তাহলে সেটি সূদের টাকা হওয়ায় আপনি যদি ধনী না হোন,আপনার কাছে যদি নেসাব পরিমান সম্পদ তথা যাকাত ফরজ হওয়া সমপরিমাণ সম্পদের মালিক যদি আপনি না হোন,সেক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষাবৃত্তি গ্রহন আপনার জন্য জায়েজ হবে।
তবে আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,তাহলে আপনি সেই শিক্ষাবৃত্তি গ্রহন করতে পারবেননা।
আর যদি কোনো ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি না দেয়,বরং কোনো ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠান হালাল টাকা থেকে দেয়,তাহলে তাহা গরিব ধনী সকলেই গ্রহন করতে পারবে।