উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
.
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সেজদায়ে সাহু ঐ সময় ওয়াজিব হয়, যখন নামাজী ব্যাক্তি ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,বা ওয়াজিব আদায় করতে দেড়ি করে,বা এক রুকুন আদায় করার সময় পর্যন্ত (তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ সময় পর্যন্ত) দেড়ি করে,বা কোনো রুকুন অন্য রুকুন থেকে আগ পিছু করে,(যেমন সেজদার পর রুকু করা),বা কোনো ওয়াজিব কে পরিবর্তন করে পড়ে,(যেমন জোড়ে নামাজে আস্তে কেরাত,আস্তে নামাজে জোড়ে কেরাত পড়ে) তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি রুকু না করে সেজদার দিকে শুধু ঝুকে যান,বসে বা হাটু না গেড়ে দিয়ে থাকেন,তাহলে সেই অবস্থায় সেখান থেকে ফিরে রুকু আদায় করার দ্বারা আপনার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়নি।
আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
,
★আর যদি আপনি সেজদার জন্য বসে থাকেন,বা হাটু গেড়ে দিয়ে থাকেন,তাহলে আপনি সেজদার দিকে বেশি ঝুকেছেন বলে ধর্তব্য হবে।
তাই রুকুন আদায় করতে বিলম্ব হওয়ার কারনে আপনার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
★আপনি যদি সেজদায়ে সাহু আদায় না করেন,তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে পুনরায় নামাজ আদায় করা ওয়াজিব হবে।
যদি আপনি সেই ওয়াক্তের মধ্যে উক্ত নামাজ আদায় না করেন,তাহলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাওয়ার কারনে আপনার ফরযিয়্যাত আদায় হয়ে যাবে।
আপনাকে অন্য ওয়াক্তে এই নামাজের আর কাজা আদায় করতে হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ
ولا یجب السجود إلا بترک واجب۔أو تاخيره أو تأخير ركن او تقديمه او تكراره او تغيير واجب (الفتاویٰ الہندیۃ / الباب الثاني عشر في سجود السہو۱؍۱۲۶، حلبي کبیر / فصل في سجود السہو ۴۵۵، حاشیۃ الطحطاوي علی مراقي الفلاح / باب سجود السہو ۴۶۱)
যার সারমর্ম হলো সেজদায়ে সাহু ঐ সময় ওয়াজিব হয়, যখন নামাজী ব্যাক্তি ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,বা ওয়াজিব আদায় করতে দেড়ি করে,বা এক রুকুন আদায় করার সময় পর্যন্ত দেড়ি করে,বা কোনো রুকুন অন্য রুকুন থেকে আগ পিছু করে,বা কোনো ওয়াজিব কে পরিবর্তন করে পড়ে,