ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ইন্নাল হামদা লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতায়িনুহু মাই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লা লাহু ওয়া মাই ইয়ুদলিল ফালা হাদিয়া লাহু ওয়া আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ (মুসলিম, মিশকাত, তিরমিজি, আবু দাউদ)
অর্থ-নিশ্চয় প্রশংসা আল্লাহর।আমরা আল্লাহর প্রশংসা করছি।আমরা আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাচ্ছি।আল্লাহ যাকে হেদায়ত দেন,তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারবে না।এবং আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তাকে কেউ হেদায়ত দিতে পারবে না।আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ এক,তার কোনো শরীক নাই।এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাঃ শেষ নবী।
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম। আম্মা বা'দ।
অর্থ- আমরা আল্লাহর প্রশংসা করছি।এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দুরুদ পাঠ করছি।অতঃপর--
আলহামদুল্লিাহি ওয়াহদাহু ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা মান লা নাবিয়্যা বাদাহু।
অর্থ- সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর।তিনি এক ও অদ্বিতীয়। এবং সালাত ও সালাম ঐ নবীর উপর, যার পর আর কোনো নবী নেই।
(২)
জ্বী, এগুলো হাদীস ও সুন্নাহ সমর্থিত দু'আ।
(৩)
প্রথমেই সালাম দিতে হবে। তারপর শয়তান থেকে পানাহ চেয়ে আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম বলা হবে।তারপর আল্লাহর নামে শুরু করে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম , তারপর আল্লাহর প্রশংসা করে আলহামদুলিল্লাহ বলে তারপর নবীর উপর দুরুদ পাঠ করে বক্তব্য শুরু করাই সুন্নাহ সম্মত।
উক্ত বিষয়াদির মধ্যে আগপিছও করা যাবে।তবে উত্তম হল,হুবহু এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বক্তব্য শুরু করা।