ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
কাপড়ে যদি বেশি পরিমাণ বীর্য লেগে যায়,আর কাপড়টিকে চলন্ত ট্যাপের নিচে ধরে রাখা হয় এবং ট্যাপের নিচেই নাপাকি দুর হওয়ার প্রবল ধারণা হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও যদি কাপড়ে বীর্যর দাগ পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এজন্য উক্ত কাপড় অপবিত্র থাকবে না, বরং পবিত্র হিসেবেই উক্ত কাপড় বিবেচিত হবে।
(২)
লজ্জাস্থান ধৌত করার সাথে সাথে উক্ত স্থানও পবিত্র হয়ে যাবে।
(৩)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন। এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে। তবে যদি নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)
নাজাসত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118
আরো বর্ণিত রয়েছে,
২. ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪৩
৩. হেদায়া-১/৭৬
৪. আহসানুল ফাতওয়া-২/৮৩,১০১
৫. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৫/১২৮,২৭৩
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাস্তায় জমে থাকা পানি পাক।তবে যদি তাতে কোনো নাজাসত দৃশ্যমান হয়, তাহলে সেই পানি নাপাক হিসেবেই গণ্য হবে।
সুতরাং যেহেতু মাঠিতে প্রস্রাব রয়েছে,সে সম্পর্কে আপনার ধারণা রয়েছে, এবং আপনি পূর্ণ অবগত রয়েছেন, তাই এই মাঠি থেকে ভিজা কিছু নিজ কাপড় বা শরীরে স্পর্শ করলে, কাপড় বা শরীর নাপাক বলেই বিবেচিত হবে।