আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
344 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়লাম, হাদিসে বর্ণিত (সম্ভবত সহীহ তারগীব, ১৯৪৮ এ), স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী স্বামীর কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত ঐ স্ত্রীর সালাত (সম্ভবত আল্লাহর কাছে পৌঁছবে না)। অথবা, স্বামীর আদেশ না মানলে ঐ স্ত্রী জাহান্নামী।
- স্বামী যদি বাবা-মা, খালাদের দাবী (যৌতুক/অর্থ সংক্রান্ত/অনৈতিক) দাবী পূরন করতে না পেরে প্রতি নিয়ত লাঞ্চিত হতে থাকে, এবং তারা মেয়েকে সংসার করতে দিবেনা বলে দিয়ে ছেলেকে সরিয়ে রাখে দীর্ঘ ৫ বছরের কাছাকাছি, এরপর ৩.৫ বছর পর বলে ছেলের উপস্থিতিতে, (যেহেতু মেয়ে/মেয়ের বাবা-মা অনেক কিছু দিতে পারেনি, তাদের ভাষায় "গিফট", যৌতুক না), তাই মেয়েকে লিখিত দিয়ে আসতে হবে ঘরের সব কাজ করবে, খেতে বলবেনা, সারাদিন বিছানায় পা রাখতে পারবেনা। মেয়েকে এসব মেনে লিখিত দিয়ে নিজে থেকে আসতে হবে। ছেলেকে নিতে আসতে দিবেনা। বাবা-মা, খালা, ভাই-বোনের কথাই ছেলের কথা (সে প্রথম দিকে বৌ এর জন্য কাদতো), ছেলেকে তার ছোট ভাই একদিন মেরেছেও, যদিও ছেলেই প্রধান উপার্জনকারী। ছেলে, মেয়েকে তালাক পাঠাতে বলে, আর না হয় মেয়ে কে নিজ থেকে এসে সব অত্যাচার সহ্য করে থাকতে। মেয়েও তো মানুষ, বাবা-মা কে নিয়ে অপমান করে, গাল-মন্দ করে। কুরআন হাদীস দিয়ে মেয়ে বোঝাতে গেলে ও গাল-মন্দ করে, মিথ্যা তো আছেই।

ছেলের খালারা ছেলেকে বিয়ে দিতেও চাচ্ছে। (এই বিয়েতে কিছু পায়নি) ছেলে যদিও বলে সে প্রায়শ্চিত্ত করবে। মেয়েও বিয়ে করবেনা। এখন মেয়ে যে ঐ সব শর্ত মেনে যায়নি, সে ভদ্রভাবে এসে নিয়ে যেতে বলেছিল, এবং কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী সংসার করার জন্য বলেছিল। ছেলের পরিবার দেয়নি। বলেছে, মেয়ের যত টাকা-পয়সা সব সাথে করে নিয়ে নিজে থেকে আসতে হবে। এখন প্রায় ৯ মাস ছেলে আর যোগাযোগ ও করেনি। ছেলের খালাতো এক ভাই বলে, " ফিরাউন এর অত্যাচার সহ্য করে আছিয়া (আঃ) সংসার করতে পারলে মেয়ে পারেনা কেন?" (ফিরাউন এর মতো অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে কি মেয়ে গুনাহগার হচ্ছে?) মেয়ে সবরকম চেষ্টা করেছে ইসলাম মেনে সংসার করতে।

এখন কি মেয়ে এভাবে থেকে গুনাহগার হচ্ছে? তার ইবাদত কি কবুল হবেনা? [মেয়েকে আল্লাহ না করুক কোন ক্ষতি করে ফেললেও ছেলে কিছু বলতে পারবেনা। ]

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ 
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হবেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪/৮৬)

আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী যদি স্বামী থেকে বা স্বামীর পরিবার থেকে দূরে থাকতে চায়, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম,
আমার আরও কয়েকটি বিষয় জানার ছিলঃ
১। রাসুল (সাঃ) চুপ থাকার গুরুত্তের কথা বলেছেন, এখানে ছেলে যদি তার স্ত্রীর প্রতি হওয়া তার বাবা-মা, খালা, ভাই-বোন এর অন্যায়, জুলুম্ (যৌতুকের ও অন্যান্য) এ চুপ করে থাকে, এই বলে যে চুপ থাকা নাজাতের পথ এই জন্য, স্ত্রীকে সর্ত দিয়ে দেয় যে তার বাবা-মা (এমনকি খালা, ভাইবোন র) সব অত্যাচার / "লাথি দিলেও সজ্ঝ করতে হবে" , আসলেই কি রাসুল (সাঃ) জুলুমে এর বেপারে চুপ থাকতে বলেছেন?  স্বামী হিসেবে তাহলে কি দায়িত্ব তার? স্ত্রী না মানতে পারলে তাকে সরে জেতে বলে খালারা, বাবা-মা, এবং সেও তাই বলে তাদের কথা শুনে, সে তালাক দিবেনা, স্ত্রীর কাছে চায়, আবার এক স্ত্রী এভাবে রেখে খালারা আবার বিয়ে করতে বলে, সেক্ষেত্রেও সে চুপ থাকে। (সে স্ত্রী পরদা করুক চায় আবার জানতে চায় তার ভাই এর দিকে তাকিয়ে কথা বলে না কেন তার স্ত্রী? তার চুপ থাকার কারনে খালারা, ভাইবোন আর বেপরোয়া হয়ে উঠছে ।
২। যেহেতু স্ত্রীকে দেন মহর দিতে দেয়নি, উসুল লিখিয়ে নিয়েছে , (মহর ছেলে ই ধার্য করেছে তার দেয়ার খমতা অনুযায়ী  বাবা-মা দিতে না করায় পরে স্ত্রীর াবা-মা র হাতে কিছু অংশ দিয়েছিল, পরে ছেলে তার বাবা-মা জেনে যাওয়ায় বলে, "তুমি উসুল মেনে সই দিয়েছ তাই উসুল", মেয়েকে তার বাবা র টাকা , স্বর্ণ না দেয়া নিয়ে অপ্নেক অপমান করা হয়, তাই মেয়ে ঐ (যতটুক মহর দেয়া হয়েছে ৫ বছর পর তার বাবা-মা র হাতে) সেতা ফেরত দিয়ে দিতে চায়? ছেলে কে কোন খবর নিতে, ভরনপসন দিতে এমনিতেও দেয়না, কুরআন  সুন্নাহ অনুযায়ী এই ফেরত দেয়ার ব্যাপারটা জানতে চাই। আর বিয়ে/ বিয়ে পরবর্তী যৌতুক (গিফত হিসেবে) চেয়ে নেয়া, না দিলে অপমান করা, গাল-মন্দ করা, এই জন্য ছেলেকে আবার বিয়ে দিতে চাওয়া কি ইসলাম এ কোন অপরাধ না?
image

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...