উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো হামদ নাতের ভিতর যদি শিরকি কালেমা থাকে,তাহলে তাহা শোনা হারাম।
হামদ-নাতের সাথে বাদ্য-বাজনা থাকলে ঐ হামদ-নাত শোনা জায়েয হবে না।
.
এছাড়া হামদ-নাত, গজলের সাথে এটা যুক্ত করা বেয়াদবিও বটে। তাই এ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। তবে হামদ-নাত, গজল যদি সম্পূর্ণ বাজনা ও মিউজিক মুক্ত হয় এবং তার কথা যদি সহীহ হয়, শরীয়তের কোনো আকীদা বা নির্দেশের পরিপন্থী না হয় তাহলে তা বলা ও শোনা জায়েয।
উল্লেখ্য যে, যারা হামদ-নাত বা ইসলামী ধাঁচের গজল পরিবেশন করবে তাদের দায়িত্ব হল এতে স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা এবং গানের সুরে তা না বলা। তদ্রƒপ এসব ক্ষেত্রে অন্যদের পরিভাষা যেমন কনসার্ট, গান ইত্যাদি শব্দও পরিহার করা উচিত।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৯০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৬৮৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৬৯০৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৫; ফাতহুল কাদীর ৬/৪৮১; আলবাহরুর রায়েক ৭/৮৮; ইসলাম আওর মূসিকী, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আলী মাওলা বলার দ্বারা উদ্দেশ্য যদি আলী রাঃ আমাদের মনিব বা নেতা হয়,তাহলে এমন গজল শোনা জায়েজ আছে।
তবে এটার দ্বারা যদি আলী রাঃ আমাদের মালিক বুঝানো হয়,তাহলে এমন গজল শোনা জায়েজ নেই।
,
যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত গজল শীয়াদের বানানো,তাই তারা এখানে এমন অর্থই উদ্দেশ্য নেয়,যাহা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদার খেলাফ।
তাই সতর্কতামূলক তাদের যাবতীয় সকল গজল শ্রবন না করাই উচিত।