শরীয়তের বিধান হলো,যেসব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন নির্ধারিত নেই। সেখানে প্রতিটি জামাতের মধ্যেই ইকামত দেবে। আর যেসব মসজিদের নির্ধারিত ইমাম-মুয়াজ্জিন আছে, সেখানে দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহ। তবুও কেউ যদি দ্বিতীয় জামাত করে, তখন ইকামত দেবে না।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল : ৩/৩১৪, আহসানুল ফাতাওয়া : ১০/২৯৩)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মসজিদে ২য় জামাত করা হলে ইকামত দিবেনা।
ইকামত ছাড়াই নামাজ শুরু করবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে করনীয় হলো,জামাত না করে একাকী নামাজ আদায় করা।
জামাত গত নামাজ আদায় করতে চাইলে ঘরে গিয়ে/মসজিদ সংলগ্ন কোনো স্থানে/রুমে/মাদ্রাসায় আদায় করা।
★রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মসজিদে জামাত ছুটে গেলে ঘরে গিয়ে জামাত করে নামাজ আদায় করেছেন।
যেমন হাদীসে এসেছে-
عن أبي بكرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم أقبل من نواحي المدينة يريد الصلاة ، فوجد الناس قد صلوا ، فمال إلى منزله ، فجمع أهله فصلى بهم
أخرجه الطبراني في ( المعجم الكبير ) كما في ( مجمع الزوائد ) ( 2 / 45 ) وفي (المعجم الأوسط ) ( 5 / 35/ الرقم4601 )
“হযরত আবু বকরা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা এক এলাকা থেকে নামাযের উদ্দেশ্যে আগমন করলেন। এসে দেখলেন লোকেরা ( সাহাবায়ে কেরাম)নামায পড়ে নিয়েছে। তখন তিনি ঘরে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়লেন। ” (আল মু’জামুল আওসাত তাবারানী, হাদিস৪৬০১)
আলোচ্য হাদিস একা কোন ব্যক্তি মসজিদে জামাত না পেলে অন্যত্র জামাত করার স্পষ্ট দলিল।
আর ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাত না পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরামদের কর্ম পদ্ধতি কি ছিল এ মর্মে হযরত হাসান (রাঃ) বলেন :
عن الحسن قال : كانت الصحابة إذا فاتتهم الجماعة ، فمنهم من اتبع الجماعة ، ومنهم من صلى فى مسجده بغير اذان ولا إقامة
“সাহাবায়ে কেরামগন যখন জামাত না পেতেন তখন তাদের কেউ অন্য কোথাও জামাত করে নিতেন, আবার কেউ মসজিদে আজান-ইক্বামত ছাড়াই একাকি নামায পড়ে নিতেন। (মাবসুতে সারাখছি , ১/১৩৫)”
“قال الامام محمد فى “الأصل
قلت : أرأيت قوما فاتتهم الصلاة فى جماعة فدخلوا المسجد وقد أقيم في ذلك وصلى فيه فأراد القوم أن يصلوا فيه جماعة باذان وإقامة؟ قال: اكره لهم ذلك، ولكن عليهم أن يصلوا وحدانا بغير اذان ولا إقامة
” ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম: কোনো দল যদি মসজিদে গিয়ে দেখে নামায শেষ, এমতাবস্থায় তারা কি আযান-ইক্বামত দিয়ে পুনরায় জামাত পড়বে? উত্তরে ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেছেন: না, তারা বরং একা একা নামায আদায় করবে” (আল-মাবসুত১/১৩৪)