বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻳُﺤِﻞُّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒَﺂﺋِﺚ
আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম ঘোষনা করেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﻭَﺗُﺪْﻟُﻮﺍْ ﺑِﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤُﻜَّﺎﻡِ ﻟِﺘَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻓَﺮِﻳﻘًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।
★★অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েজ হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(ক)
এক্ষেত্রে তিনি হালাল টাকা দিয়ে খাওয়াচ্ছেন? নাকি হারাম টাকা দিয়ে?
সেটি জেনে নিতে হবে।
হারাম টাকা থেকে হলে খাওয়া যাবেনা।
খেয়ে থাকলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
(খ,গ,ঘ)
এসব ক্ষেত্রেই একই বিধান।
তিনি কোন টাকা থেকে দিচ্ছেন,সেটি জেনে নিতে হবে।
হালাল হলে গ্রহন করা যাবে,হারাম হলে গ্রহন করা যাবেনা।
,
(০২)
যাবে।
(০৩)
রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া যাবেনা,কেননা খাওয়ার সময় চেহারা খোলা রেখে খেতে হয়।
তবে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট যদি হয়,যেখানে পর্দার সহিত মহিলাদের আলাদা খাওয়ার স্থান রয়েছে, যেখানে পরপুরুষ থাকবেনা।
তাহলে এটি জায়েজ আছে।
,
অথবা যদি রেস্টুরেন্টে গায়রে মাহরাম কোনো পুরুষ না থাকে,তাহলে পর্দা বজায় রেখে সেই রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে।
,
পরিপূর্ণ শরয়ী পর্দার সহিত বান্ধবী কিংবা মাহরামের সাথে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাবে।
তবে শর্ত হলো ফেতনার আশংকা না থাকা।
(০৪)
তার গুনাহ আপনার হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی
কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)
আরো জানুনঃ
(০৫)
না,আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে আপনি দাওয়াহ মূলক তাকে পর্দা করেই যেতে বলবেন।