আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
385 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আস্সালামু আলাইকুম।

আমি যাদু  এবং জ্বীন আক্রান্ত। এর জন্যে রুকিয়া করতে হয়েছে পরিবারের অমতে। তার জন্যে মিলেছে বাবা মায়ের অভিশাপ সহ পরিবারের সকলের অবহেলা। জ্বীন আক্রান্ত হওয়াতে আমার মতামতের গুরুত্ব একদম দেয়া হয় না পরিবারে। আমি যাই বলি "সাথের শয়তানে বলে" এই বলে অবহেলিত হয়। বাবা মায়ের পছন্দের ছেলেকে ই বিয়ে করেছি। বিয়েতে রাজি ছিলাম না বলেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে সাথে এই ফকির ওই ফকিরের থেকে তাবিজ এনেই ক্ষান্ত হয় নি। আমার জন্যে তাদের অর্থ যাচ্ছে এমন কথাও শুনিয়েছে। তাদের থেকে আমি কোন টাকা পয়সা নেই না ! যাইহোক বাধ্য হয়েই বিয়েতে রাজি হয়েছি। একটু খোজঁ নেয় নাই! আমি সময় চেয়েছি তাও দেয় নাই! আমার সাথে শয়তান আছে বিয়ে ভেঙে দিবে এসব বলে। বিয়ের দুদিন পর জানতে পারি ছেলের আগে চার বছরের সংসার আছে। অনেক কেদেঁছি আমার কথা ই শুনতে চায় নি। এরপর চেষ্টা করলাম স্বামীর সাথে মানিয়ে নিতে। কিন্তু দিন যতো যাচ্ছিলো ছেলে এবং তার পরিবারের খারাপ জিনিসগুলো চোখের সামনে আসতেছিলো। ছেলের প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ , তাকে টাকা পাঠানো। ছেলের আগের দুটি বিয়ে। ছিগারেট খাওয়া। নামাজে না যাওয়া এমনকি আমার নামাজে সরাসরি বাধাঁ দেয়া। নিষেধ করা সত্যেও intetnal ব্যপার ভাই বন্ধুদের সাথে খোলাখুলি বলা + আমি পর্দা করা সত্যেও আমার ছবি অনবরত বন্ধুদের পাঠানো এবং আপত্তিকর মন্তব্য করা। এমনকি কুন কাজ ও করে না সে। তার কথা মতে আমি ইনকাম করে তাকে দিবো! ঘরের কাজ ও আমাকে করতে হবে এমনকী বুয়াও রাখতে পারবো না! ঠিক করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে ঠিক হবার নয় বলে হাল ছেড়ে দিয়ে ডিভোর্স চেয়েছি আর সে রাজি হয়ে গেছে!  সবকিছু শেষ হয়েছে দু মাস ও হয় নি । বাসায় বাবা মার সাথে এক কথায় দু কথায় কথা শুনায় অভিশাপ দেয়। অভিশাপ থেকে বাচাঁর জন্যে দরজা আটকে একা থাকি চাকরীর জন্যে পড়াশুনা করি। বাবা দরজা ধাক্কাদিয়ে আটকা পেলেই অভিশাপ দিতে থাকে।  আমার ডিভোর্সের টাকা টাও তারা নিতে চাইছে।    একটা চাকরী পেয়ে মাস ভিত্তিক মা বাবার হাতে টাকা দিলে তাদের এই অভিশাপ দেয়া টা বন্ধ হবে। তাই দরজা আটকে পড়াশুনা করতে হচ্ছে। দরজা খোলা থাকলে অভিশাপ টা আরো বেশি পড়ে।

বাবা মায়ের এই অভিশাপ কি আল্লহ্ কবুল করছেন?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


অভিশাপ দেওয়া সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أنَّ رَجُلًا اِسْمُه عَبْدُ اللّٰهِ يُلَقَّبُ حِمَارًا كَانَ يُضْحِكُ النَّبِىَّ ﷺ وَكَانَ النَّبِىُّ ﷺ قَدْ جَلَدَه فِى الشَّرَابِ فَأُتِىَ بِهِ يَوْمًا فَأَمَرَ بِه فَجُلِدَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : اَللّٰهُمَّ الْعَنْهُ مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتٰى بِه فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ : «لَا تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে (অবোধের ন্যায় কথাবার্তা বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদ্যপায়ীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ! তার ওপর তোমার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হলো? এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।
 (সহীহ : বুখারী ৬৭৮০,মিশকাত ৩৬২৫)
,
আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
বাবা মার বদ দু'আ কে আল্লাহ কবুল করেন ঠিক।তবে অন্যায়ভাবে সন্তানের উপর বদ-দু'আকে আল্লাহ কখনো কবুল করবেন না।  
আপনার পরিস্থিতি শুনে বুঝা যাচ্ছে, যে আপনি দ্বীন পালন করতে গিয়ে ধাপে ধাপে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, আপনার সঠিক কোনো ডিসিশনে আপনার বাব মা সম্মতি দিচ্ছেন না, আপনার বাবা,মা বিনা কারণেই আপনাকে বদ দু'আ করছেন, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা,মায়ের বদ'দুআ কবুল হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...