ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
সুন্নতি নিয়মে বসা : হাদীসে আছে - মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাম হাটু উঠিয়ে ডান পায়ের ওপর কর করে বসে খেতেন। আবার দুই হাঁটু উঠিয়ে বসার কোথাও উল্লেখ আছে । বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের মতে বসার আরো কিছু তরিকা আছে। যেমন - ডান হাটু উঠিয়ে বাম পায়ের ওপর বসা। মূলকথা হলো, খাওয়ার সময় নম্রতা ও ভদ্রতা বজায় রেখে খেতে বসা।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
খাওয়ার সময়ে বসার আদবের প্রতি খেয়াল রাখা মুস্তাহাব। খাওয়ার সময়ে বসার আদবের প্রতি লক্ষ্য না রাখা কখনো উচিৎ হবে না। পায়ের উপর পা তুলা নিষেধ নয়।
https://www.ifatwa.info/11244 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى أَنفُسِكُمْ أَن تَأْكُلُوا مِن بُيُوتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ آبَائِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أُمَّهَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ إِخْوَانِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخَوَاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَعْمَامِكُمْ أَوْ بُيُوتِ عَمَّاتِكُمْ أَوْ بُيُوتِ أَخْوَالِكُمْ أَوْ بُيُوتِ خَالَاتِكُمْ أَوْ مَا مَلَكْتُم مَّفَاتِحَهُ أَوْ صَدِيقِكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَأْكُلُوا جَمِيعًا أَوْ أَشْتَاتًا فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون
অন্ধের জন্যে দোষ নেই, খঞ্জের জন্যে দোষ নেই, রোগীর জন্যে দোষ নেই, এবং তোমাদের নিজেদের জন্যেও দোষ নেই যে, তোমরা আহার করবে তোমাদের গৃহে অথবা তোমাদের পিতাদের গৃহে অথবা তোমাদের মাতাদের গৃহে অথবা তোমাদের ভ্রাতাদের গৃহে অথবা তোমাদের ভগিণীদের গৃহে অথবা তোমাদের পিতৃব্যদের গৃহে অথবা তোমাদের ফুফুদের গৃহে অথবা তোমাদের মামাদের গৃহে অথবা তোমাদের খালাদের গৃহে অথবা সেই গৃহে, যার চাবি আছে তোমাদের হাতে অথবা তোমাদের বন্ধুদের গৃহে। তোমরা একত্রে আহার কর অথবা পৃথকভবে আহার কর, তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ননা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও।(সূরা নুর-৬১)
একই প্লেটে খাবার খাওয়াকে একমাত্র সুন্নাহ এটা বলা যাবে না। এমনকি পৃথক পৃথক খাওয়াকে সুন্নতের খেলাফও বলা যাবে না।বরং একত্রে এবং পূথক যেকোনোভাবে খাবার গ্রহণ করা যাবে।