আসসালামুআলাইকুম,
আমি পবিত্রতা বিষয়ক ওয়াসওয়াসার রোগী।তাই নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন।উত্তরগুলো রুখসতের উপর ভিত্তি করে দেয়ার অনুরোধ কেননা আমার মতো ওয়াসওয়াসার রোগী বোধহয় সর্তকতা অনুসরণ করতে পারবে না।
১)আমার পরিবারের লোকজন পবিত্রতার বিষয়ে যেমন সর্তক থাকতে হয় তেমন সর্তক না।আমাদের বাথরুমের সামনের পাপোসে পেশাব মিশ্রিত পানি পড়ে যায় ৪-৫ ফোটা।কিন্তু সেই পাপোস না ধুয়েই তাতে সবাই পা মুছে ঘরে যায় আবার কখনো কখনো কোনোমতে পা মুছে সেই ভেজা ভেজা পা নিয়ে বিছানায় উঠছে বা সোফায় বসছে এবং এতে সেই জিনিসগুলোতে আদ্রতা দেখা দিছে।এখন আমার কাছে পুরো বাসার বিছানা বা অন্যান্য জিনিসের নাপাক মনে হয়।এখন আমার করণীয় কি?
২)নাইলনের দড়ি কি শুকিয়ে গেলেই পাক হয়ে যায়?
৩)চুল উঠলে চুলের গোড়ায় যে চর্বি দেখা যায়,তা কি নাপাক?তা যদি শরীরের ভেজা অংশে লাগে তাহলে কি সেই অংশ নাপাক হয়ে যায়? আবার খাবারে পড়লে(যেমনঃডাল) তা কি নাপাক হয়ে যায়?
৪)টয়লেটের সাথে আটাচ বাথরুমের সামনের অংশ অর্থাৎ যে অংশে গোসল করা হয় তাকে কি নাপাক ধরব বাথরুমে ঢোকার পর?বিশেষ করে আমাদের টয়েলেটে প্যান কমোডের উপর চেয়ার কমোড বসিয়ে একজনের টয়লেট করতে হয় তো এতে প্যান কমোড ও সেই চেয়ারের মাঝে কিছুটা পার্থক্য থাকে।ফলে পানি সেখানে ঢাললে কিছু ছিটা সামনে আসতে পারে,সেক্ষেত্রে কি করণীয় আমার?
৫)দাঁতের মাড়িতে কাটা আটকে গেলে বা গোস্তের হাড় আটকে গেলে আর তা খেয়ে ফেললে কি হারাম খাবার খাওয়া হয়?
৬)পেশাবের পর তো টিস্যু ব্যবহার করলেই হয় কিন্তু টিস্যু নিয়ে হাটাহাটি করলে টিস্যুকে পেশাব লেগে টিস্যুর এক দিরহামের বেশি জায়গা ভিজে যায়,তাহলে কি পানি ব্যবহার আবশ্যক হবে?আর পেশাব গড়িয়ে অন্ডকোষে লাগলে কি তা ধুতে হবে নাকি টিস্যু দিয়ে মুছলেই হবে?
৭) হাতের তালুর পাশের দিকে কেটে গিয়ে রক্ত বের হয়েছিল ফলে হাত টি ট্যাপের নিচে রাখছিলাম কিন্তু দেখি যে রক্ত পুরোপুরি সরেনি তাহলে হাতের অন্যান্য অংশে যে পানি লেগেছিল তা কি নাপাক ছিল?এটা জিজ্ঞাসা করার মূলত করাণ হলো যে,হাত ধুয়ে নেয়ার পরও ক্ষতের উপর কিছু রক্ত দেখা যায় যা মুছে ফেলা হয় টিস্যু দিয়ে ফলে রক্ত মুছে যায় ও তার উপর ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ দেয়া হয় আর এরপর ওই হাত দিয়ে থালাবাটি ধোয়ার সময় খেয়াল হয় যে ওই হাতের সংস্পর্শে তো থালাবাসন মাজার ন্যাকড়া আনা হয়েছিল,তাহলে কি ওই ন্যাকড়া নাপাক হয়েছিল?এতে কি সব থালাবাসন আবার ধুতে হবে?
জাযাকাল্লাহ।