উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি রুকুর আগে সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করে,সাথে সাথে রুকু,সিজদাহ করে,তাহলে তাকে অতিরিক্ত সেজদাহও দিতে হবেনা।
রুকু সেজদাহ তে গিয়ে সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করার নিয়তও করতে হবেনা।
এই সিজদাহ আপনা আপনি আদায় হয়ে যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছে
عن إبراہیم قال : قال عبد اللہ بن مسعود رضی اللّٰہ عنہ من قرأ سورۃ الأعراف أو النجم أو إذا السماء انشقت أو بنی اسرائیل أو اقراء باسم ربک الذي خلق فشاء أن یرکع بأخرہن رکع أجزأہ سجود الرکوع وإن سجد فلیضف إلیہا سورۃ۔ (المعجم الکبیر للطبرانی ۹؍۱۴۶ رقم : ۸۷۳۲، مصنف ابن ابي شیبہ ۳؍۴۱۹ رقم : ۴۴۰۱)
যার সারমর্ম হলো যেই ব্যাক্তি এমন সুরা তেলাওয়াত করে,যার শেষে সিজদাহ এর আয়াত আছে,(যেমন ইকরা সুরা) তাহলে সে যদি সাথে সাথে রুকুতে চলে যায়,তাহলে সেটাই যথেষ্ট হবে,আলাদা করে আর তাকে সিজদাহ্ আদায় করতে হবেনা।
আর যদি সে সাথে সাথে সিজদায় যায়,তাহলে উঠে সে আগে অন্য কোনো সুরা বা সুরার আয়াত পড়বে,তারপর রুকুতে যাবে।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
في الدر المختار: نعم لو رکع وسجد لہا فوراً ناب بلا نیۃ (الدرالمختار) وفي الشامي: الظاہر أن المقصود بہٰذا الاستدراک التنبیہ علی أنہ ینبغي للإمام أن لا ینویہا في الرکوع۔ (شامي ۲؍۱۱۲ کراچی، شامي ۲؍۵۸۸ زکریا)
যার সারমর্ম হলো নিয়ত ছাড়াই এই রুকু সেজদার দ্বারা আয়াতে সিজদাহও আদায় হয়ে যাবে।
আলাদ করে আবার সিজদাহ আদায় করতে হবেনা।
,
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াহ তে আছে
وإذا قرأ اٰیۃ السجدۃ في صلاتہ وہي في آخر السورۃ فإن شاء رکع لہا وان شاء سجد۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۴۷۷ رقم: ۳۰۵۳ زکریا)
কেহ যদি নামাজের ভিতর সুরার শেষে (রুকুর আগে) সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করে, তাহলে তার ইচ্ছা,সে চাইলে রুকুও করতে পারে,চাইলে সেজদাহও করতে পারে।
,
তবে রুকুর আগে সিজদার আয়াত না পড়ে যদি তারও অনেক আগে সেজদার আয়াত পড়ে,তাহলে সাথেই সেজদায় যেতে হবে।
যদি সাথে সাথেই সেজদায় না যায়,তাহলে যখন সেজদায় যাবে,তখন উক্ত আয়াতে সেজদা আদায়ের নিয়ত করতে হবে।
(রুকুতে গিয়ে ঐ সেজদার নিয়ত করলেও আদায় হয়ে যাবে,তবে এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে,তাই সতর্কতা মূলক সিজদায় গিয়ে নিয়ত করবে।)