আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম জনাব,
আমার বয়স যখন ১২-১৩ বছর তখন আমার এক আতিয় বাসায় যেতাম সেই তখন এক পীর দিয়ে নানা ধরনের কাজ করত তখন আমি শুধু দেখতাম কিন্তু ত বুজতাম না যে এগুলো শির্ক এতটূক বুজতাম যে কোন পীর দারা কিছু করানো হছে এখন আমার প্রশ্ন হল এতে কি আমার ও শির্ক গুনাহ হয়েছে কি না?

আলহামদুলিল্লাহ আমাদের আতিয়রা তাদের ভুল বুজে এগুলো পরিতান  করেছে.

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা সবচেয়ে বড় গোনাহ। আল্লাহ তাআলা শিরকের গোনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করাই শিরক। এটাকে শিরকে আকবার বলা হয়। এটি সবচেয়ে বড় কবিরাহ গোনাহ। এ গোনাহের ধরন হলো এমন-

যে কোনো প্রকারের ইবাদতকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা কিছুর জন্য নিবেদন করা। যেমন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে বা নামে প্রাণী জবাই করা; প্রভু হিসেবে কারো ইবাদত করা।

আবার যদি কোনো ব্যক্তি ইবাদতের কিছু অংশে আল্লাহ ছাড়া অন্যের উদ্দেশ্যে করে থাকে তাও শিরক। আল্লাহ তাআলা শিরকে গোনাহের পরিণতি সম্পর্কে ঘোষণা করেন-

إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে লোক আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে; সে যেন অপবাদ আরোপ করে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)

আল্লাহ তাআলা ৭ শ্রেণির মানুষকে ধ্বংস করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। তার মধ্যে প্রথম শ্রেণির মানুষ হলো তারা- যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে।

তাছাড়া আল্লাহ তাআলা বান্দার সব গোনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গোনাহ ক্ষমা করবেন না বলে কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।

তাই মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় শিরক থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করা। শিরক বর্জন করে পরিচ্ছন্ন ঈমানের অধিকারী হওয়া এবং আল্লাহর ধ্বংস থেকে বেঁচে থাকা। শিরক থেকে বাঁচতে অবসরে বেশি বেশি এভাবে বলা-

اَللهُ... اللهُ رَبِّىْ لَا اُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا

অর্থ : ‘হে আল্লাহ!... আল্লাহ! তুমিই আমার প্রভু! আমি তোমার সঙ্গে কোনো কিছুকেই শরিক করি না।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। শিরক থেকে ঈমানকে হেফাজত করার তাওফিক দান করুন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুপাতে আপনার শিরকের গুনাহ হবে না। কারণ, ঐ সময় আপনি সে সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তাছাড়া আপনি শুধু দেখেছেন সে কাজে লিপ্ত ছিলেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উত্তর অপেক্ষায় আছি 
by (58,830 points)
উত্তর দেওয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...