জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ছাহাবায়ে কেরামগন দের জামানাতেও অনেকে সম্পদ জমিয়ে রাখতেন,যাকাত আদায়ের শর্তের ভিত্তিতে সম্পদ জমানো শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জায়েজ আছে।
,
সুরা তাওবার ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡاَحۡبَارِ وَ الرُّہۡبَانِ لَیَاۡکُلُوۡنَ اَمۡوَالَ النَّاسِ بِالۡبَاطِلِ وَ یَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَکۡنِزُوۡنَ الذَّہَبَ وَ الۡفِضَّۃَ وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَہَا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۙ فَبَشِّرۡہُمۡ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿ۙ۳۴﴾
হে মুমিনগণ! নিশ্চয় অনেক পন্ডিত-পুরোহিত মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায় উপায়ে ভক্ষণ করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।
,
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন যে, এটা যাকাত ফরয হওয়ার পূর্বের আদেশ। যাকাতের হুকুম অবতীর্ণ হওয়ার পর যাকাত দ্বারা আল্লাহ তাআলা মাল-ধনকে পবিত্র করার মাধ্যম বানিয়েছেন। এই জন্য উলামাগণ বলেন, যে মাল থেকে যাকাত বের করা হবে সে মাল (আয়াতে নিন্দনীয়) ‘জমা করে রাখা’ মাল নয়। আর যে মাল থেকে যাকাত বের করা হবে না, সে মালই হবে ‘জমা করে রাখা’ ধনভান্ডার; যার জন্য রয়েছে এই কুরআনী ধমক।
,
যারা শরীয়তের বিধানমতে আল্লাহর ওয়াস্তে খরচ করে, তাদের পক্ষে তাদের অবশিষ্ট অর্থ সম্পদ ক্ষতিকর নয়। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে মালামালের যাকাত দেয়া হয়, তা জমা রাখা সঞ্চিত ধন-রত্রের শামিল নয়।” [আবু দাউদ: ১৫৬৪]।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মহানবী সাঃ এর ধনী ছাহাবারা তাদের সম্পদ বাণিজ্যে ব্যবহার করতেন,মুদারাবা পদ্ধতিতে শরিকানা পদ্ধতিগত টাকা দিয়ে বৈধ পদ্ধতিতে লাভ নিতেন,অনেকে বিশ্বস্ত কাহারো কাছে টাকা আমানত হিসেবে রাখতেন।
অনেকে নিজের কাছেই রাখতেন।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি আপনার টাকা দিয়ে নিজে ব্যবসা করতে পারেন,জায়গা জমি ক্রয় করে রেখে দিতে পারেন,(পরে বিক্রয় করবেন) বা কাহারো ব্যবসায় মুদারাবা পদ্ধতিতে টাকা দিতে পারেন,এভাবে সঞ্চয় করতে পারেন।
,
যদি অপারগতা বশত টাকা ব্যাংকেই রাখেন,তাহলে লাভ নিতে পারবেননা।
সেই লভ্যাংশ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।