ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/827 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আরাফার দিন যোহর-আসর কে এবং মুযদালিফার রাত(নহরের রাত)মাগরিব-এশাকে এক সাথে পড়া জায়েয।এ সম্পর্কে সমস্ত উলামায়ে কেরামদের ইজমা রয়েছে।বিস্তারিত জানতে দেখা যেতে পারে-(আল ইজমা-ইবনুল মুনযির-৩৮,মারাতিবুল ইজমা-৪৫,আল-আওসাত্ব-২/৪২১)
এছাড়া সফর বা অন্য সময়ে দুই নামাযকে একসাথে পড়া কি শরীয়তে অনুমোদিত?সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
(১)মালিকি, শাফেয়ী, হাম্বলী উলামাগণ একমত যে,সফরের হালতে যোহর-আসর, এবং মাগরিব-এশার একত্রিকরণ জায়েয আছে।(শরহুল কাবীর-১/৩৬৮,মুগনীল মুহতাজ-১/৫২৯,কাশ্শাফুল ক্বানা'-২/৫)
(২) হানাফি উলামাগণ বলেন,
ﻻ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺿﻴﻦ ﻓﻲ ﻭﻗﺖ . ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺇﻻ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺍﻟﺼﻮﺭﻱ ﺑﺘﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻈﻬﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﺛﻢ ﺃﺩﺍﺀ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﻣﺎ ﻋﺪﺍ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺑﻌﺮﻓﺔ ﻭﻣﺰﺩﻟﻔﺔ
আরাফা এবং মুযদালিফা ব্যতীত আর কোথাও দুই নামাযকে একত্রিকরণের বিধান নেই।তবে বাহ্যত দু'টি নামাযকে এভাবে একত্র করে পড়া যেতে পারে যে,যোহরের নামাযকে একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের নামাযকে একেবারে প্রথম ওয়াক্তে এমনভাবে পড়া যে, দৃশ্যত দু'টি নামাযকে একতত্রিত বুঝা যাবে, যদিও বাস্তবতায় প্রত্যেক নামাযকে তার ওয়াক্তে পড়া হচ্ছে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৩৮১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই নামাযকে একত্র করা পড়া যাবে না।তবে জোহরের একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের একেবারে প্রথম ওয়াক্তে নামায পড়া যাবে।
(২)
জ্বী , যেকোনো পবিত্রতম স্থানে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে।তবে সাধারণ বই পড়ার মত না পড়ে বরং আদাব বজায় রেখে তিলাওয়াত করতে হবে।
(৩)
নন মাহরাম কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না।ফিতনার আশংকা না থাকলেও সালাম না দেয়াই উত্তম।
(৪)
জ্বী,গাছ লাগানো এবং তার যত্ন নেয়া সৃষ্টির খেদমত হিসেবেই বিবেচিত হবে।