আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আসসালামুআলাইকুম।
১) আমাদের কয়েকজনের প্রাইভেট প্রত্যেক দিন চারটায় শুরু হয় । বাসা থেকে রওনা দিতে হয় সাড়ে তিনটার দিকে। তখন আসর ওয়াক্ত শুরু হয় না। আমরা কি প্রত্যেক দিন যুহর ও আসর এই কারণে একত্রে পড়তে পারব? সেটা কি জায়েয হবে?
২) যেকোনো জায়গায় বসে কি কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? যেমন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে/ডাক্তারের চেম্বারের ওয়েটিং রুমে... তখন যদি ওজু না থাকে, তাহলে কি ফোনে টাচ না লাগিয়ে সেখানকার মুসহাফ থেকে তিলাওয়াত জায়েয হবে?
৩) রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে এমনিতেই প্রয়োজনে কথা বলতে হয় কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে। তাদের যদি সালাম দেই, সেটা কি অতিরিক্ত কথা হয়ে যাবে? এই সালাম ত্যাগ করায় কি কোনো সওয়াব রয়েছে?
৪) গাছ লাগানো এবং তার যত্ন নেয়া কি সৃষ্টির খিদমত হিসেবে গণ্য হয়?
জাযাকুমুল্লহু খইরন কাসীরন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/827 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আরাফার দিন যোহর-আসর কে এবং মুযদালিফার রাত(নহরের রাত)মাগরিব-এশাকে এক সাথে পড়া জায়েয।এ সম্পর্কে সমস্ত উলামায়ে কেরামদের ইজমা রয়েছে।বিস্তারিত জানতে দেখা যেতে পারে-(আল ইজমা-ইবনুল মুনযির-৩৮,মারাতিবুল ইজমা-৪৫,আল-আওসাত্ব-২/৪২১)

এছাড়া সফর বা অন্য সময়ে দুই নামাযকে একসাথে পড়া কি শরীয়তে অনুমোদিত?সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
(১)মালিকি, শাফেয়ী, হাম্বলী উলামাগণ একমত যে,সফরের হালতে যোহর-আসর, এবং মাগরিব-এশার একত্রিকরণ জায়েয আছে।(শরহুল কাবীর-১/৩৬৮,মুগনীল মুহতাজ-১/৫২৯,কাশ্শাফুল ক্বানা'-২/৫)

(২) হানাফি উলামাগণ বলেন,
ﻻ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺿﻴﻦ ﻓﻲ ﻭﻗﺖ . ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺇﻻ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺍﻟﺼﻮﺭﻱ ﺑﺘﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻈﻬﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﺛﻢ ﺃﺩﺍﺀ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﻣﺎ ﻋﺪﺍ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺑﻌﺮﻓﺔ ﻭﻣﺰﺩﻟﻔﺔ
আরাফা এবং মুযদালিফা ব্যতীত আর কোথাও দুই নামাযকে একত্রিকরণের বিধান নেই।তবে বাহ্যত দু'টি নামাযকে এভাবে একত্র করে পড়া যেতে পারে যে,যোহরের নামাযকে একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের নামাযকে একেবারে প্রথম ওয়াক্তে এমনভাবে পড়া যে, দৃশ্যত দু'টি নামাযকে একতত্রিত বুঝা যাবে, যদিও বাস্তবতায় প্রত্যেক নামাযকে তার ওয়াক্তে পড়া হচ্ছে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৩৮১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই নামাযকে একত্র করা পড়া যাবে না।তবে জোহরের একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের একেবারে প্রথম ওয়াক্তে নামায পড়া যাবে।

(২)
জ্বী , যেকোনো পবিত্রতম স্থানে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে।তবে সাধারণ বই পড়ার মত না পড়ে বরং আদাব বজায় রেখে তিলাওয়াত করতে হবে।

(৩)
নন মাহরাম কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না।ফিতনার আশংকা না থাকলেও সালাম না দেয়াই উত্তম।

(৪)
জ্বী,গাছ লাগানো এবং তার যত্ন নেয়া সৃষ্টির খেদমত হিসেবেই বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...