ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن
شيئا غير ذلك
শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের
প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ
থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩)
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي
أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي
الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ
وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ
وَطَعَامِهِنَّ " .
সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস
(রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ
হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের
অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও
ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)
■ পিতা মাতা সন্তানের উপর জুলুম করলেও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার
করা। হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ هُوَ ابْنُ
سَلَمَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْقَيْسِيِّ، عَنِ ابْنِ
عَبَّاسٍ قَالَ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ لَهُ وَالِدَانِ مُسْلِمَانِ يُصْبِحُ
إِلَيْهِمَا مُحْتَسِبًا، إِلَّا فَتْحَ لَهُ اللَّهُ بَابَيْنِ - يَعْنِي: مِنَ
الْجَنَّةِ - وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَوَاحِدٌ، وَإِنْ أَغْضَبَ أَحَدَهُمَا لَمْ
يَرْضَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى يَرْضَى عَنْهُ "، قِيلَ: وَإِنْ ظَلَمَاهُ؟
قَالَ: «وَإِنْ ظَلَمَاهُ»
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে
কোন মুসলমানের মুসলিম পিতা-মাতা জীবিত থাকলে এবং সে ভোরবেলা সওয়াবের আশায় তাদের
খোঁজ-খবর নিলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য বেহেশতের দু’টি দরজা খুলে দেন এবং তাদের
একজন থাকলে একটি দরজা। সে তাদের কোন একজনকে অসন্তুষ্ট করলে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তাকে সন্তুষ্ট না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত
আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হন না। বলা হলো, তারা
তার উপর যুলুম করে থাকলে? তিনি বলেন, তারা তার
উপর যুলুম করলেও (বাযযার)। (আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-৭)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. আপনার পিতা
যদি আপনার বা আপনার মায়ের প্রতি অন্যায় করে তাহলে অবশ্যই তার গুনাহ হবে। তবে এতে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে
পড়লে হবে না।
২. আপনার পিতাকে বুঝাতে চেষ্টা করুন। আবার আপনার পিতাকে কোনো হক্কানী আলেম বা আপনাদের মহল্লার ইমাম সাহেবের কাছ
থেকে দ্বীনী ইলম অর্জন করানোর চেষ্টা করাতে পারেন। অথবা মোবাইলের মাধ্যমে দ্বীনী বয়ান শুনাতে
পারেন। এতে দেখবেন আপনার পিতার মধ্যে পরিবর্তন আসবেই ইনশাআল্লাহ। এতেও যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনাদের
আত্মীয় স্বজন বা এলাকার মাতব্বরদের সাহায্য নিতে পারেন।
৩. মেয়েদের চাকরী করা সম্পর্কে
জানুন - https://ifatwa.info/18512/?show=18512#q18512
৪.
বোন, সাংসারিক জীবনে অনেক কষ্ট করেই
সামনে আগাতে হয়। মন মালিন্য, টুকটাক
ঝগড়া থাকবেই। তাই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হবে না। আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করুন।
তিনি সব কিছু সহজ করে দিবেন।